গত অক্টোবর নেপালে সাফ জয় করে ঢাকায় ফিরে অধিনায়ক সাবিনা খাতুন জানিয়েছিলেন, তিনি আরও পাঁচ/সাত বছর ফুটবল খেলতে চান। আগামী সাফে হবে ২০২৬ সালে। বাংলাদেশের জন্য হ্যাটট্রিকের বছর। স্মরণীয় সাফও খেলতে চান। কিন্তু বাংলাদেশ নারী ফুটবল দলের ব্রিটিশ কোচ মনে করছেন সাবিনার পারফরম্যান্স পড়তির দিকে। তরুণদের সঙ্গে এখন আর তাকে মানায় না।
বাফুফে পরিকল্পনা করেছিল, বাংলাদেশ যদি সাফের বাইরে যেতে চায় তাহলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলার মনে করছেন উপমহাদেশের ফুটবলে দুইবার সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে বাংলাদেশ। এখন উপমহাদেশ ছেড়ে এশিয়ান ফুটবল সার্কিটে খেলতে হলে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করতে হবে। নতুনদের জায়গা দিতে হবে। নতুন নতুন ফুটবলার তুলে আনতে হবে।
এবারের সাফে নেপালে পুরোনোদের সঙ্গে কিছু জুনিয়র ফুটবলারদেরকে গুরুত্ব দিয়েছিলেন কোচ পিটার। ঝুঁকি নিয়েই কাজটি করে ছিলেন তিনি। সেই চেষ্টায় সফল হয়েছেন। সাফ চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। ব্যর্থ হলে কোচের চাকরিটা থাকত কি না, সেটা নিশ্চিত না। সফল হওয়ায় তাকে দুই বছরের জন্য নিয়োগ দেয় বাফুফে। লম্বা পরিকল্পনায় হাঁটতে গেলে সাবিনার মতো সিনিয়র ফুটবলার যারা রয়েছেন, তাদেরকে লড়াই করে টিকে থাকতে হবে।
বাফুফের নীতিনির্ধারকরা সেটিতে একমত হলেও বিষয়টি অনুধাবন করতে পারছেন না সাবিনা। মেনে নিতে পারছেন না। সাবিনা জানিয়েছেন, তার আর কিছু প্রমাণ করার নেই। মূলত এসব কারণেই নাকি সাবিনাসহ একাধিক ফুটবলার একমত হয়ে অন্যদেরকেও তাদের সঙ্গী করেছেন। কোচ ও সাবিনারা এখন এমন এক পর্যায়ে চলে গেছেন, যে কোচ থাকলে সাবিনারা অনুশীলন করবেন। আর কোচ বলেছেন সাতজন ফুটবলার থাকলে তিনি থাকবেন না। সাবিনা ও পিটার ইগো সমস্যায় পড়েছেন বলে সংবাদমাধ্যমও মনে করছে। এরই মধ্যে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেছেন কোচ।
বাফুফের সভাপতি তাবিথ আউয়াল লন্ডন থেকে ঢাকায় ফিরে সাবিনাদের ইস্যু নিয়ে গঠিত বিশেষ কমিটির চেয়ারম্যান ইমরুল হাসানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বাফুফের অন্যান্য কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। আর গতকাল ব্রিটিশ কোচ পিটার বাটলারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সাবিনা-পিটার ইগো ফেলে দিয়ে তাবিথ চাইছেন সাপ মারবেন, লাঠি ভাঙবেন না। যদি সম্ভব না হয়, কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে কার্পণ্য করবেন না বাফুফের সভাপতি।