নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইন হত্যার ঘটনায় জড়িত আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ নামের এক যুবক আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হায়দার আলীর আদালত ১৬৪ ধারায় তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ রংপুর জেলার গঙ্গাচরার রাজভল্লব গ্রামের ইসমাইল মিয়ার ছেলে।
নারায়ণগঞ্জ কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক আব্দুল কাইয়ুম আদালতে আসামীর স্বীকারোক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত সোমবার রাতে তাকে ফতুল্লা থানার মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
ফতুল্লা মডেল থানার ওসি শরীফুল ইসলাম বলেন, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কিলিং স্কোয়াডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আরিফকে সোমবার রাতে মাসদাইর এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে আরিফ জানায় যে, প্রায় ১৫ দিনেরও বেশী সময় ধরে নিহত মামুনের গতিবিধি লক্ষ্য করা হচ্ছিল এবং আরিফ সব সময় মামুনের অবস্থান অপর একটি পার্টিকে জানিয়ে দিতো। ঘটনার রাতে সে ঘটনাস্থলের পাশে থেকে সব কিছু কিলিং মিশনে থাকা অপর গ্রæপকে মোবাইল ফোনে জানিয়ে দেয়। গুলি করে হত্যার পর কিলিং মিশনের সদস্যরা বড় বাড়িতে (প্রধান আসামী আক্তারের বাড়ি) প্রবেশ করে এবং তাকেও ফোন করে সরে যেতে বলে।
এর আগে শুক্রবার ভোরে ফতুল্লার লালপুর রেললাইন এলাকায় নিজের ইট-বালু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সামনে যুগ্ম আহবায়ক মামুন হোসাইনকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহত মামুন হোসাইন ফতুল্লা পূর্ব লালপুর (পাকিস্তান খাদ) এলাকার মৃত সমন আলীর পুত্র। পেশায় তিনি ইট বালু সিমেন্ট বিক্রির ব্যবসা করেন। বাড়ির সামনে ‘মা বাবার দোয়া এন্টারপ্রাইজ’ নামের তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছিল। ঘটনার দিন সেখানে ডেকে এনেই তাকে গুলি করেন দুর্বৃত্তরা।