শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

ট্রাম্পের গাজা দখলের প্রস্তাব ‘হত্যা ও ডাকাতি’র পরিকল্পনা: উত্তর কোরিয়া

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৩:৩৯

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা দখল এবং ফিলিস্তিনিদের স্থানান্তরের প্রস্তাবকে ‘হত্যা ও ডাকাতির’ পরিকল্পনা বলে মন্তব্য করেছে উত্তর কোরিয়া।

বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সির (কেসিএনএ) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই প্রস্তাবের কারণে ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও শান্তির আশা শেষ হয়ে যাচ্ছে। হোয়াইট হাউসের এই প্রস্তাব মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আধিপত্যবাদী মনোভাবের প্রমাণ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বোমাবাজির ঘোষণায় বিশ্ব এখন পোড়া হাঁড়ির মতো ফুটছে। ফিলিস্তিনি জনগণের ‘মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ’  বন্ধ করতে আমেরিকার প্রতি আহ্বান জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া।

এতে বলা হয়েছে, এটি কেবল গাজা উপত্যকার মধ্যে সীমাবদ্ধ কোনও সমস্যা নয়। যুক্তরাষ্ট্রের উচিত তার কালানুক্রমিক দিবাস্বপ্ন থেকে জেগে ওঠা এবং অবিলম্বে অন্যান্য দেশ ও জাতির মর্যাদা ও সার্বভৌমত্বের উপর হস্তক্ষেপ করা বন্ধ করা। প্রতিবেদনটিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘হিংস্র ডাকাত’ বলে আখ্যা দেওয়া হয়েছে।

সম্প্রতি ডোনাল্ড বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র গাজার বাসিন্দাদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে চায় এবং যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন করতে চায়। ট্রাম্পের এই ঘোষণার প্রতিক্রিয়ায় কেসিএনএ-তে মন্তব্য প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে।

ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের সঙ্গে নজিরবিহীন বৈঠক করেছিলেন। সে সময় তিনি তাদের ব্যক্তিগত সম্পর্ক জোরদার করার কথাও তুলে ধরেছিলেন। দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর সম্প্রতি ট্রাম্প বলেছেন, তিনি আবারও কিমের সঙ্গে দেখা করবেন। যদিও এখন পর্যন্ত পিয়ংইয়ংয়ের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে তেমন একটা মন্তব্য করা হয়নি বললেই চলে। বরং যুক্তরাষ্ট্র এবং তাদের মিত্ররা উত্তর কোরিয়ার জন্য হুমকি তৈরি করছে বলে অনবরত অভিযোগ করে যাচ্ছে পিয়ংইয়ং।

উত্তর কোরিয়া প্রায়ই আন্তর্জাতিক বিষয়ে পশ্চিমা দৃষ্টিভঙ্গির বিরুদ্ধে কথা বলে থাকে। তারা গাজা পরিস্থিতি নিয়ে সোচ্চার। গাজায় রক্তপাতের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে থাকে উত্তর কোরিয়া। আর এ কাজে যুক্তরাষ্ট্র সহযোগীর ভূমিকা পালন করছে বলে অভিযোগ তাদের।

ইত্তেফাক/আরএস /এমএস
 
unib