বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ৬ চৈত্র ১৪৩১
The Daily Ittefaq

চোট কাটিয়ে দোহায় কোর্টে ফিরছেন নোভাক জোকোভিচ 

আপডেট : ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১৮:৪৫

টেনিস কোর্টে নিজের এক নতুন মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে আছেন নোভাক জোকোভিচ। ২৪ বারের গ্র্যান্ডস্লামজয়ী এই সার্বিয়ান কিংবদন্তি এবার ক্যারিয়ারের ১০০তম এটিপি শিরোপা জয়ের লক্ষ্যে নামবেন।

সবশেষ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের সেমিফাইনালে আলেকজান্ডার জভেরেভের বিপক্ষে হ্যামস্ট্রিং চোটের কারণে মাঝপথে ম্যাচ ছেড়ে দেওয়ার পর এই প্রথম বারের মতো কোর্টে ফিরছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে কাতারের দোহায় অনুষ্ঠিতব্য এটিপি ৫০০ টুর্নামেন্টে তাকে আবার দেখা যাবে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে।

আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হবে কাতার ওপেন। আর এই টুর্নামেন্টটির জন্য নিজের শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছেন জোকোভিচ। সেটিও তার জীবনের এক স্মরণীয় কোর্টে। ২১ বছর আগে বেলগ্রেডের টেনিস ক্লাব জেমাক্সে চ্যালেঞ্জার টুর্নামেন্ট দিয়ে পেশাদার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন এই সার্বিয়ান টেনিস তারকা। এবার সেই পরিচিত কোর্টেই ফিরে অনুশীলন করেছেন তিনি। মেলবোর্ন থেকে ফিরে নিজ শহরে চিকিৎসা ও থেরাপি নেওয়ার পর এখন সম্পূর্ণ সুস্থ তিনি এবং কোর্টে নামতে পুরোপুরি প্রস্তুত।

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই কাতারের দোহার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। সেখানে ইতালির ইয়ানিক সিনার ও স্পেনের কার্লোস আলকারাজের মতো তারকাদের সঙ্গে খেলবেন জোকোভিচ। এই টুর্নামেন্টে তার এবারের চ্যালেঞ্জ হবে দোহায় ভালো পারফরম্যান্স করে নিজের ফিটনেসের পরীক্ষা দেওয়া এবং ১০০তম এটিপি শিরোপা জয়ের পথে এগিয়ে যাওয়া।

এদিকে ২৪ বারের গ্র্যান্ডস্লামজয়ী এই সার্বিয়ান তারকা আগেই ইঙ্গিত দিয়েছেন যে তার ক্যারিয়ারের ইতি টানার সময় ঘনিয়ে আসছে। বর্তমানে তার বয়স ৩৭। যদিও কবে নাগাদ তিনি অবসর নিবেন, তা এখন জানাননি। তবে এখনও টেনিস চালিয়ে যাওয়ার পেছনের কারণ সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন জোকোভিচ।

এক সার্বিয়ান সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, 'এটি (খেলা চালিয়ে যাওয়া) মূলত টেনিসের প্রতি ভালোবাসার জন্য। দ্বিতীয়ত, আমি মনে করি টেনিস আমাকে একজন ব্যক্তি হিসেবে সবচেয়ে বেশি বিকশিত করেছে। এটি শুনতে অদ্ভুত লাগতে পারে, তবে টেনিস কোর্টে ম্যাচ চলাকালীন আমি ১০ লাখ আবেগ অনুভব করি-কখনো আনন্দ, কখনো হতাশা, কখনো রাগ, কখনো আত্মসমালোচনা, কখনো উচ্ছ্বাস... কখনো কখনো আমার নিজের আচরণ দেখে নিজেই লজ্জিত হই। আবার এসব অনুভূতি আমার মনে যে চিন্তাগুলো জাগায়, সেগুলোও ভাবিয়ে তোলে।' 

তবে সবকিছু সত্ত্বেও তিনি গর্বিত যে তিনি ক্রীড়াসুলভ মানসিকতা বজায় রাখতে পারেন এবং প্রতিপক্ষের সঙ্গে খেলার শেষে হাত মেলাতে পারেন, ম্যাচের ফলাফল যেমনই হোক না কেন। বলেন, 'খেলাধুলার এই মূল্যবোধগুলোই মানুষকে আমাদের সঙ্গে সংযুক্ত করে। বিশেষ করে ব্যক্তিগত খেলায়, যেখানে আপনাকে প্রথমে নিজেকেই হারাতে হয়, তারপর প্রতিপক্ষকে পরাস্ত করতে হয়।' 

ইত্তেফাক/এএম
 
unib