ত্রিদেশীয় সিরিজের ফাইনালের টিকিট পেতে জয়ের বিকল্প ছিল না পাকিস্তানের। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সেই সমীকরণ সামনে রেখে মাঠে নেমে ইতিহাসই গড়ল বাবর আজমের দল।
৩৫৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করে ৬ বল হাতে রেখেই ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে পাকিস্তান, যা তাদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের রেকর্ড। একই সঙ্গে এটি বিশ্ব ক্রিকেটে যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সফল রান তাড়ার নজির।
পাকিস্তানের জয়ের নায়ক অধিনায়ক মোহাম্মদ রিজওয়ান ও সহ-অধিনায়ক সালমান আলী। চতুর্থ উইকেটে দুজন গড়েছেন ২৬০ রানের জুটি, যা ওয়ানডেতে পাকিস্তানের হয়ে চতুর্থ উইকেটে সর্বোচ্চ। এই রেকর্ড গড়ার পথে সেঞ্চুরি পেয়েছেন দুজনই।
রিজওয়ান অপরাজিত ছিলেন ১২২ রানে, যা ২০২৩ বিশ্বকাপের পর ওয়ানডেতে তার প্রথম সেঞ্চুরি। অন্যদিকে, ৩১তম ওয়ানডে খেলতে নেমে সালমান ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন। করেছেন ১৩৪ রানে। এর আগে প্রথমে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা ৫ উইকেটে ৩৫২ রান তুলেছিল। ক্লাসেন ৮৭ ও ফন ডার ডাসেন ৭৬ রান করেন। পাকিস্তানের পক্ষে হারিস রউফ ও শাহিন শাহ আফ্রিদি দুটি করে উইকেট নেন।
এত এত স্মরণীয় পারফরম্যান্সের পর ম্যাচ শেষে মোহাম্মদ রিজওয়ান বলেন, ‘আল্লাহ চাইলে রেকর্ডের পর রেকর্ড হতেই থাকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তাদের ৩২০ রানের মধ্যে আটকে রাখতে চেয়েছিলাম। তবে ক্লাসেন (৮৭ রান) সেটা সাড়ে তিন শতে নিয়ে গেল। ম্যাচের বিরতিতে খুশদিল শাহ বলছিল, এ রকম রান আমরা আগেও তাড়া করেছি। কেউ কেউ বলল ৩৪০ রানও তাড়া করেছি আমরা।’
সালমানের সঙ্গে বড় জুটি গড়ে সাড়ে তিন শ রান তাড়া করতে পেরে রিজওয়ান খুশি। তবে কিছু অস্বস্তি তার রয়েই গেছে, ‘আমাদের ফিল্ডিংয়ে উন্নতি করা দরকার। আশা করি সেটা আমরা পারব। কারণ চ্যাম্পিয়নস দলগুলো এভাবেই খেলে।’
আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারি করাচিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানের ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি।