শিশু-কিশোরদের মধ্যে বর্তমানে মোবাইল আসক্তি যেন বেড়েই চলেছে। ইন্টারনেট সহজলভ্য হওয়ায় এখন শিশু-কিশোররা সবসময় মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত থাকছে। দৈনন্দিন জীবনে তাদের মোবাইল ফোন যেন লাগবেই। এমনকি ছোট শিশুরা পর্যন্ত ফোনে আসক্ত হয়ে পড়েছে। ফোনে কার্টুন না দেখে অনেক বাচ্চা যেন খেতেই পারে না।
ফোন ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় আত্মহত্যা করার বিষয়টি এখন অনেক উদ্বেগের হয়ে দাঁড়িয়েছে। তেমনই এক ঘটনা ঘটেছে ভারতের বেঙ্গালুরুতে। মায়ের ফোন ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় আত্নহত্যা করেছে ১৫ বছর বয়সী এক কিশোরী। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভারতের বেঙ্গালুরুর একটি অ্যাপার্টমেন্টের ২০ তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে ওই কিশোরী। ইতোমধ্যে বেঙ্গালুরুর উপকণ্ঠে কাডুগোডি থানা এলাকা ১৫ বছর বয়সী ওই কিশোরীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
জানা গেছে, মায়ের ফোন ব্যবহারে বাধা দেওয়ায় ২০তলা থেকে লাফ দেই সেই কিশোরী। ওই কিশোরীর নাম অবন্তিকা চৌরাসিয়া। পড়তো দশম শ্রেণিতে।
পুলিশ জানিয়েছে, কিশোরীর পরিবার মধ্যপ্রদেশের বাসিন্দা। তার বাবা পেশায় ইঞ্জিনিয়ার এবং মা গৃহিণী। সেই কিশোরী হোয়াইটফিল্ড এলাকার একটি সিবিএসই স্কুলে পড়ত।
জানা যায়, ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে তার বার্ষিক পরীক্ষা শুরু হবে। এরপরেও সে মোবাইল ফোন নিয়েই ব্যস্ত ছিল।মেয়েটির মা এতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। মোবাইল ফোনে সময় ব্যয় করতে বাধা দিয়েছিলেন। ফোন ব্যবহার বাদ দিয়ে পড়ার দিকে মনোযোগ দিতে বলেছিলেন।এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েটি অ্যাপার্টমেন্টের ২০তলা থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে ধারণা করেছে পুলিশ।
কাদুগোড়ি পুলিশ ইতোমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে এবং ঘটনার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে। অভিভাবকদের কাছ থেকে আনুষ্ঠানিক বিবৃতি এখনও রেকর্ড করা হয়নি।
প্রাথমিক তদন্তে থেকে জানা যায়, পরীক্ষার সময় মোবাইল ব্যবহারে আপত্তি দেওয়ায় মেয়েটি এমন আত্মহুতি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।