ফিলিস্তিনের গাজার বিষয়ে ঐক্যমতের ঘোষণা নিয়েছে মিশর ও জর্ডান। জর্ডানের রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহর সঙ্গে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক বৈঠকে মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি গাজা পুনর্গঠন করার বিষয়ে একমত হন।
মিশরীয় প্রেসিডেন্সির এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিনি জনগণকে যেন তাদের ভূমি থেকে সরানো না হয় এবং গাজা উপত্যকা পুনর্গঠনের বিষয়ে মিশর ও জর্ডান তাদের ঐক্য নিশ্চিত করেছে।
আরব নিউজের প্রতিবেদন বলছে, গত মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে রাজার সাক্ষাতের পরই এ ঘোষণা এলো।
আরেক বিবৃতিতে জর্ডানের রাজদরবার জানিয়েছে, দুই নেতা ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক স্থানচ্যুতি প্রত্যাখ্যান করে তাদের 'অভিন্ন অবস্থানের' ওপর জোর দিয়েছেন।
দুই দেশের বিবৃতিতে ট্রাম্পের সঙ্গে ‘ন্যায়সঙ্গত ও স্থায়ী শান্তি’ অর্জনের লক্ষ্যে সহযোগিতার কথাও বলা হয়েছে।
আরব নিউজ জানিয়েছে, মিশর ও জর্ডান গাজা নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনার বিরুদ্ধে কঠোর আরব প্রতিরোধের নেতৃত্ব দিচ্ছে।
তবে ট্রাম্পও হুমকি দিয়েছেন, যদি এই দুই দেশ ফিলিস্তিনিদের গ্রহণ না করে, তবে তিনি তাদের জন্য বরাদ্দকৃত সহায়তা ‘বন্ধ’ করতে পারেন।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনার পর রাজা দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বলেছেন, গাজা ও পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুতির বিরুদ্ধে তার দেশ আগের অবস্থানে 'অটল' রয়েছে।
মিশর এই সপ্তাহে ঘোষণা করেছে, তারা এই মাসের শেষের দিকে আরব দেশগুলোর একটি শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে। গাজার পুনর্গঠনের জন্য এমন একটি পরিকল্পনা উপস্থাপন করা হবে, যা ফিলিস্তিনিদের তাদের নিজ ভূমিতে থাকার নিশ্চয়তা দেবে।
মিশর ও জর্ডান উভয়ই যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান মিত্র। তাই তারা বৈদেশিক সহায়তার ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভরশীল।