ষষ্ঠ ধাপে তিন বন্দিকে মুক্তির পর ইসরায়েলি কারাগারে আটক ৩৬৯ জন ফিলিস্তিনিকে ফেরত পাঠানো শুরু হয়েছে। এদের বেশিরভাগকেই কোনো অভিযোগ বা দোষ ছাড়া আটকে রাখা হয়েছিল। যুদ্ধবিরতি শুরুর পর এটিই সবচেয়ে বেশি সংখ্যক ফিলিস্তিনিকে মুক্তি।
ফুটেজে দেখা গেছে, ওফার কারাগার থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদের বহনকারী একটি বাস পশ্চিম তীরের রামাল্লায় পৌঁছেছে। আত্মীয়-স্বজন এবং উচ্ছ্বাসিত সমর্থকরা তাদের সঙ্গে দেখা করছে। নেগেভ মরুভূমির একটি ইসরায়েলি কারাগার থেকে ফিলিস্তিনিদের বোঝাই আরও বাস গাজার দিকে রওনা হয়েছে।
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে অন্তত চা রজনকে তাৎক্ষণিকভাবে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়। নতুন মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি হলেন ৪৮ বছর বয়সী আহমেদ বারঘৌতি। তিনি ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মারওয়ান বারগৌতির ঘনিষ্ঠ সহযোগী।
আল জাজিরা জানিয়েছে, মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে ৭০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধসহ বেশ কয়েকজন বয়স্কও রয়েছেন। বাস থেকে নামার সময় কয়েকজনকে মুমূর্ষু দেখাচ্ছিল, আবার কেউ কেউ হাসছিল ও বিজয় চিহ্ন দেখাচ্ছিল।
মুক্তি পাওয়া ফিলিস্তিনি বন্দি আমির আবু রাদাহ আল জাজিরাকে জানান, তিনি ইসরায়েলের নাফা মরুভূমির কারাগারে ১৮ মাস কাটিয়েছেন। সেখানে কর্তৃপক্ষ পানি ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়।
তিনি বলেন, কারাগারে আমাদের অবস্থা অত্যন্ত কঠিন ছিল। কেউই এসব সহ্য করতে পারত না। দেড় বছর ধরে আমাদের যোগাযোগের কোনো উপায় ছিল না। আমরা বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম।