মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে ইসরায়েলে ভারী 'এমকে-৮৪' নামের দুই হাজার পাউন্ডের বোমার একটি চালান পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এর আগে এই চালানটি ট্রাম্পের পূর্বসূরি জো বাইডেন আটকে দিয়েছিলেন।
রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে মার্কো রুবিওর (পররাষ্ট্রমন্ত্রী) প্রথম ইসরায়েলি সফরের সময়, রাতারাতি ভারী মার্কিন তৈরি বোমার একটি চালান ইসরায়েলে পৌঁছেছে।
ডয়চে ভেলের প্রতিবেদন বলছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে দুই হাজার পাউন্ডের বোমার চালান ইসরায়েলে পৌঁছানোর সময় রুবিওর এই সফর অনুষ্ঠিত হয়। রুবিও গাজার জনগণকে জোর করে বিতাড়িত করার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিতর্কিত পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম বলছে, শনিবার রাতে মার্কো রুবিও ইসরায়েলের তেল আবিবের কাছে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। একই রাতে ইসরায়েলে পৌঁছায় বোমাগুলো।
এসব বোমা বিস্ফোরণের ব্যাসার্ধ এত বড় ও ভারী, যে কোনো কংক্রিট ও ধাতব পদার্থ গুঁড়িয়ে দিতে সক্ষম। আল জাজিরার খবরে বলা হয়, এই চালানে এ ধরনের ১ হাজার ৮০০টি বোমা এসেছে ইসরায়েলে।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ বলেন, রাতে আসা অস্ত্রের চালানটি 'ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে শক্তিশালী জোটের আরও প্রমাণ' হিসেবে কাজ করবে।
গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাইডেন প্রশাসন ইসরায়েলে হাজার হাজার পাউন্ড বোমা পাঠিয়েছে। কিন্তু পরে চালানগুলোর একটির ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে। গত ২০ জানুয়ারি দ্বিতীয় মেয়াদে প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরপরই এসব বিধিনিষেধ তুলে নেন ট্রাম্প।
গাজা যুদ্ধের পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলকে কয়েক বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা দিয়েছে। ইসরায়েল এসব সহায়তা নিয়ে অবরুদ্ধ উপত্যকায় প্রায় ৪৮ হাজার ২৩৯ জনকে হত্যা করেছে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, যুদ্ধে হতাহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের এই আগ্রাসনকে বিশ্বব্যাপী গণহত্যা হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে।