“জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই”-- এই শ্লোগানকে সামনে রেখে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের ব্যানারে তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়সহ তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবীতে দুই দিনের কর্মসূচী আজ থেকে শুরু করেছে তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটি।
কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ও মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুই দিন ব্যাপী তিস্তা নদীর ১১টি পয়েন্টে বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করবে আন্দোলন কমিটি। কর্মসূচীর মাধ্যমে তিস্তা পানি বৈষম্যের বিষয়টি বিশ্ববাসীকে জানাবে কমিটি।
কমিটির নেতৃবৃন্দ বলেন , তিস্তা নদী বেষ্টিত উত্তরাঞ্চলের রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও লালমনিরহাট জেলার মানুষ পানি বৈষম্যের শিকার হয়েছে। বিগত সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে তিস্তা চুক্তি বাস্তবায়িত হয়নি।
তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলন কমিটির সহ-সমন্বয়ক ও গঙ্গাচড়া উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক ওয়াহেদুজ্জামান মাবু বলেন, আনোলনকে ঘিরে ব্যাপক আয়োজন করা হয়েছে। তিস্তার তীরে এলাকার মানুষের অবস্থান কর্মসূচীসহ তাঁবু খাঁটিয়ে ও মঞ্চ বানিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলবে। চলবে বক্তব্য।
তিনি আরও বলেন, তিস্তা এখন মানুষের দুঃখের কারণ। এক সময় তিস্তার দুইপাড়ের মানুষের সুখ-সমৃদ্ধিও উৎস ছিল। সেই তিস্তা এখন হেঁটে পার হওয়া যায়। তিস্তার পানির হিস্যা এখন ন্যায্য দাবী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তিস্তা সেতুর সামনে রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলা ও পিছনে লালমনিরহাট জেলার হাতীবান্ধা ও কালিগঞ্জ উপজেলার বিএনপিসহ বিভিন্ন শ্রেণির পেশার লোকজনের জন্য তাঁবু খাটানো হয়েছে। সকাল থেকে লোকজন আসতে শুরু করেছে।