চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে সাগরে বসানো জাল কাটতে বাধা দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিটিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়া জেলে রাম জলদাসের এখনও সন্ধান মিলেনি। সবশেষ এ ঘটনায় হামলাকারীদের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করছেন সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. মজিবর রহমান।
এর আগে সোমবার বিকেলে উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের মধ্যম মাহমুদাবাদ বঙ্গোপসাগর উপকূলে স্থানীয় জেলে রাম জলদাসকে পিটিয়ে সাগরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় বালু খোকোদের বিরুদ্ধে। তাছাড়া এসময় রাম জলদাসের সঙ্গে থাকা লিটন জলদাস ওরফে গৌর জলদাসকে বোটসহ অপহরণ করে নিয়ে যায়। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপরতার মুখে মুক্তি পান গৌর জলদাস।
জেলেরা জানান, সোমবার বিকেলে বঙ্গোপসাগরে বসানো জালে মাছ ধরেছে কি না দেখতে দুই সহোদর সাগরে যান। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী চক্রের সদস্যদের তাদের বসানো জাল কেটে ফেলে দিতে দেখেন। এ সময় প্রতিবাদ জানালে তারা রড ও লাঠি দিয়ে তাদের উপর্যুপরি আঘাত করে। একপর্যায়ে রাম জলদাসের মাথায় লাঠি দিয়ে সজোরে আঘাত করলে তিনি মাছ ধরার নৌকা থেকে সাগরের পানিতে পড়ে নিখোঁজ হন। ঘটনার পর আহত গৌর জলদাস মুঠোফোনের মাধ্যমে বিষয়টি জেলেপাড়ার বাসিন্দাদের জানান। খবর পেয়ে জেলেপাড়ার নারী-পুরুষ সবাই সাগর উপকূলে ছুটে যায়। কিন্তু সেখানে যাওয়ার পর তারা গৌর জলদাসকে খুঁজে পায়নি। উপকূলে উপস্থিত লোকজনের মাধ্যমে তারা গৌর জলদাসকে হামলাকারীরা নৌকাসহ অপহরণ করে নোয়াখালীর ভাসান চরে নিয়ে গেছে বলে জানতে পারে। পরে খবর পেয়ে গৌর জলদাসকে উদ্ধার করে নৌ-পুলিশ।
সীতাকুণ্ড মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মজিবর রহমান বলেন, অবৈধ বালু উত্তোলন এবং মারধর করে জেলে রাম জলদাসকে সাগরে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আটক ৬ জনকে জেল হাজতে পাঠানোসহ ড্রেজার বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। সাগরে নিখোঁজ হওয়া রাম জলদাসকে এখনও খুঁজে পাওয়া যায়নি।