গ্র্যামি-মনোনীত মার্কিন গায়িকা অ্যাঞ্জি স্টোন না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন। শনিবার (১ মার্চ) ভোরে এক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান এই সংগীতজ্ঞ। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। মেয়ে লেডি ডায়মন্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মায়ের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন।
সংগীত প্রযোজক ওয়াল্টার মিলসাপ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে জানান, শনিবার ভোর ৪টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে। অ্যাঞ্জি যে গাড়িতে ছিলেন, সেটি আলাবামা থেকে আটলান্টা ফেরার পথে উল্টে যায়। দুর্ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান এই মার্কিন সংগীত শিল্পী।
বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, শনিবার ভোর ৪টার দিকে আলাবামা থেকে গাড়িতে চড়ে আটলান্টা ফিরছিলেন অ্যাঞ্জি। এ সময় উল্টে যায় তার গাড়ি, এরপর দুমড়ে মুচড়ে যায়। আলাবামা হাইওয়ে পেট্রোল এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মার্সিডিজ-বেঞ্জ স্প্রিন্টার ভ্যানটি ভোর ৪টা ২৫ মিনিটে ইন্টারস্টেট ৬৫-তে উল্টে যায়। দুর্ঘটনাস্থলেই অ্যাঞ্জি স্টোনকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
দুর্ঘটনায় আহত চালকসহ আরও সাতজনকে চিকিৎসার জন্য ব্যাপটিস্ট মেডিকেল নেওয়া হয়েছে। দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
অ্যাঞ্জি অল-ফিমেল হিপ-হপ ত্রয়ী ‘দ্য সিকোয়েন্স’র সদস্য এবং জনপ্রিয় গান ‘উইশ আই ডিড নট মিস ইউ’র জন্য পরিচিত ছিলেন। তিনি ১০টি একক অ্যালবাম প্রকাশ করেছিলেন। তার মধ্যে তিনটি গ্র্যামির জন্য মনোনীত হয়েছিলো। গানের পাশাপাশি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন অ্যাঞ্জি।
অ্যাঞ্জির জন্ম ১৯৬১ সালের ১৮ ডিসেম্বর কলম্বিয়ার এসসি-তে। উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় তার সংগীতজীবন শুরু হয়। বন্ধু শেরিল কুক, যিনি ‘চেরিল দ্য পার্ল’ নামে পরিচিত এবং গোয়েনডোলিন চিসোলম, যিনি ‘ব্লন্ডি’ নামে পরিচিত, তাদের সাথে ‘দ্য সিকোয়েন্স’ প্রতিষ্ঠা করেন।