ঠাকুরগাঁওের হাসপাতাল থেকে চুরি হওয়া আড়াই মাসের শিশুকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর ২ টার দিকে ঘটনায় জড়িত শিশু চোর সিন্ডিকেটের মূল হোতাসহ চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন র্যাব-১ গাজীপুরের কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী।
গ্রেপ্তারকৃত চারজন হলেন গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নুলতলা গ্রামের সোনালী আক্তার শিরিন (২০), তার স্বামী একই গ্রামের মো. রাজু কবিরাজ (২২), নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলার চকপাড়া গ্রামের মো. লিটন মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী লাভলী বেগম (৩২)।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ৯ মার্চ দুপুর ২টার দিকে ভুল্লী থানার খলিসাকুড়ী মুজাবল্লী গ্রামের দম্পতি শিমুল ইসলাম ও হাসি আক্তারের দু’মাস ১৭ দিন বয়সী পুত্র সায়ান আহমেদকে ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালে নিউমোনিয়া জনিত রোগে ভর্তি করান। হাসপাতালে শিশুটির নানি পারভীন বেগমের পাশাপাশি সোনালী আক্তার শিরিনও ছিলেন। ১০ মার্চ সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শিশুটির মা হাসি আক্তার ওয়াশ রুমে যাওয়ার সময় শিশু বাচ্চাটিকে ওই নারীর কাছে রেখে যান। ওয়াশরুম থেকে ফিরে এসে দেখেন নারীসহ ওই শিশুটিও উধাও। শিশুটির পিতা ঠাকুরগাঁওের সদর থানায় মামলা এবং র্যাব সিপিসি-১-এর দিনাজপুর কমান্ডারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
পরবর্তীতে র্যাব-১ এর সহযোগিতায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও প্রযুক্তির মাধ্যমে বুধবার বেলা পৌনে ২টার দিকে গাজিপুরের শ্রীপুরের মুলাইদ এলাকায় অভিযান চালিয়ে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এবং ঘটনাস্থল থেকেই চুরি হওয়া শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। সেই সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও চারটি মোবাইলও উদ্ধার করে পুলিশ। এই চারজন শিশু চুরি সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত। শিশু চুরির পর শিশুদের বিক্রি করে দিত তারা। এই গ্রুপের মূলহোতা হিসেবে কাজ করত সোনালী।
র্যাব-১ গাজীপুরের কোম্পানি কমান্ডার কে এম এ মামুন খান চিশতী বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তিরা শিশু চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।