গত বছরের মতো এবারও আইপিএল থেকে নাম সরিয়ে নিয়েছেন ইংলিশ ক্রিকেটার হ্যারি ব্রুক। এতে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের (বিসিসিআই) এর নিষেধাজ্ঞায় পড়েছেন এই ইংলিশ ক্রিকেটার। এতে ২০২৮ সালের আগে আইপিএলে খেলতে পারবে না এই ক্রিকেটার। ব্রুকের এমন নিষেধাজ্ঞার পক্ষে মত দিয়েছেন ব্রুকের জাতীয় দলের দুই সতীর্থ মঈন আলী ও আদিল রশিদ।
২০২৫ আইপিএলের মেগা নিলামের আগে জানানো হয়েছিল যে, কোন খেলোয়াড় যদি চোট বা অন্য কোন গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া দল থেকে সরে যায়, তবে তাকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হবে। সম্প্রতি গণমাধ্যমে খবর এসেছে যে, আইপিএল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ডকে ব্রুকের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি জানিয়েছে। চলতি আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালস তাকে ৬ কোটি ২৫ লাখ রুপিতে দলে নিয়েছিল।
সম্প্রতি বিয়ার্ড বিফোর ক্রিকেট পডকাস্টে এসে মঈন আলী বলেন, 'দুই বছর নিষিদ্ধ করা এটা তেমন কঠোর কোন সিদ্ধান্ত না। আমি এর সঙ্গে একমত। অনেকেই নাম প্রত্যাহার করেছেন। অতীতে অনেকে এমনটা করেছেন। তারা নাম প্রত্যাহার করে পরে ফিরে এসে আরও ভালো আর্থিক প্যাকেজ পান। একইসঙ্গে এতে অনেক কিছু এলোমেলো হয়ে যায়।'
তিনি আরও বলেন, 'ব্রুকের নাম প্রত্যাহারে ওই দলের পরিকল্পনায় ব্যাঘাত ঘটেছে। যে কোন দলের জন্য হ্যারি ব্রুকের মতো খেলোয়াড়কে না পাওয়ার মানে সমস্যার মুখে পড়া। এখন সবকিছু তাদের নতুন করে সাজাতে হবে।'
মঈন আলী এবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের জার্সিতে মাঠ মাতাবেন। অভিজ্ঞ এই অলরাউন্ডার আরও বলেন, 'এটা আগেও কয়েকবার ঘটেছে, ইংল্যান্ডের খেলোয়াড়রা অতীতেও কয়েকবার এমনটা করেছে। সে (ব্রুক) অনেক ক্রিকেট খেলেছে, হয়তো একটু বিশ্রামের কথা ভাবছে। সম্ভবত সে জাতীয় দলের সাদা বলের ক্রিকেটে অধিনায়ক হতে পারেন। তাই হয়তো নিজেকে একটু বিরতি দিচ্ছে সে।'
শেষ কয়েক বছর ধরে এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগ থেকে নাম প্রত্যাহারের ঘটনা অনেক ঘটেছে। তাই এসব খেলোয়াড়দের নিষিদ্ধ করা উচিত আইপিএল কর্তৃপক্ষর।
ফ্রাঞ্চাইজির অবস্থান বুঝতে পেরে মঈনের সঙ্গে সুর মিলিয়ে আদিল রশিদ বলেন, 'এটা অনেকদিন ধরেই চলছে, আইপিএলে অনেক বেশি সময় ধরে আছে, পাঁচ-দশ বছর ধরে অনেকেই দল পাওয়ার পর নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এটাই থামানোর চেষ্টা করছেন তারা। শেষ মুহূর্তে নাম প্রত্যাহার করে নেয় অনেকে, যা দলের পরিস্থিতি কঠিন করে তোলে।'
তিনি আরও বলেন, 'নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে রশিদ স্পষ্ট উত্তর দেন, ক্রিকেটাররা জানেন যে, এটাই নিয়ম। যদি নাম লেখান এবং পরে প্রত্যাহার করে নেন, তাহলে এটিই ঘটবে। তারা জানে এমন পরিণতি ঘটবে। তাই আমার মনে হয় না এটা কঠোর।'