শেরপুরের নালিতাবাড়ী সীমান্তে ধানক্ষেতে বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে একটি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) রাত ১১টার দিকে সীমান্তের লাল নেংগড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই ঘটনার পর বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরের তার জব্দ করেছেন। শুক্রবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ বন বিভাগের মধুটিলা ইকোপার্কের রেঞ্জ কর্মকর্তা দেওয়ান আলী।
বন বিভাগ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, এক সপ্তাহ ধরে ১৮-২০টি বন্য হাতির পাল উপজেলার সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ের বিভিন্ন টিলায় ও জঙ্গলে অবস্থান করছে। দিনের বেলায় টিলা বা জঙ্গলে অবস্থান করলেও সন্ধ্যা নামার পর হাতির পাল দল বেঁধে ধানক্ষেতে, লোকালয়ে নেমে আসে। এ জন্য কৃষকেরা ফসল রক্ষায় মশাল জ্বালিয়ে, রাত জেগে হাতির পাল প্রতিরোধের চেষ্টা করেন।
পূর্ব সমশ্চুড়া গ্রামে গুচ্ছগ্রাম–সংলগ্ন এলাকায় পাহাড়ের ঢালে ৭০-৮০ একর জমিতে বোরো আবাদ করা হয়েছে। বন্য হাতির কবল থেকে ফসল রক্ষায় কৃষকেরা ধানক্ষেতে জেনারেটরের মাধ্যমে তার দিয়ে ঘিরে রাখেন। বৃহস্পতিবার রাতে হাতির পাল সেই ফসল খেতে হানা দেয়। এ সময় একটি হাতি তারে জড়িয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। এ সময় অন্য হাতিগুলো মৃত হাতিটিকে ঘিরে রাখে। রাত সাড়ে ১১টার দিকে বন বিভাগের কর্মীরা ঘটনাস্থল থেকে জেনারেটরের তার জব্দ করে নিয়ে যান। এ সময় হাতির দলটি মৃত হাতির আশপাশে জঙ্গলে অবস্থান করছিল। শেষ রাতে মৃত হাতিটি রেখে অন্য হাতিগুলো জঙ্গলে ফিরে যায়।
শেরপুরের মধুটিলা রেঞ্জের রেঞ্জার দেওয়ান আলী জানান, জিয়ারুল নামে এক কৃষক ধানক্ষেত বাঁচাতে জেনারেটরের বিদ্যুৎ দিয়ে বন্যহাতি হত্যা করেছে। জড়িতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণি সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হবে।