মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

বিক্ষোভে উত্তাল তুরস্ক, চাপে এরদোয়ান 

আপডেট : ২৪ মার্চ ২০২৫, ১৩:১০

তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের প্রধান রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী একরেম ইমামোগলুকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আনা হয়। তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল দেশটি। 

ইমামোগলু তুরস্কের অন্যতম প্রধান শহর ইস্তাম্বুলের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। তবে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তাকে মেয়রের পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। একরেম ইমামোগলু রিপাবলিকান পিপলস পার্টি-সিএইচপি'র নেতা। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৮ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের জন্য দলের প্রার্থী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করার কথা ছিল রোববার। সেইদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তবে গ্রেপ্তার দেখানোর কয়েকদিন আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী আটক করে ইমামোগলুকে। 

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইমামোগলুকে 'অপরাধমূলক সংগঠন প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা, ঘুস গ্রহণ, চাঁদাবাজি, বেআইনিভাবে ব্যক্তিগত তথ্য রেকর্ড এবং টেন্ডার জালিয়াতির' অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়।

তবে ইতোমধ্যে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি। বলেছেন, এসব অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 

হেফাজতে নেওয়ার আগে এক্স অ্যাকাউন্টে ইস্তাম্বুলের মেয়র লিখেন, আমি কখনো মাথা নত করবো না। 

বিবিসি বলছে, তাকে আটকের প্রতিবাদে তুরস্কে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় বিক্ষোভের সূত্রপাত ঘটে। তবে এরদোয়ান এই বিক্ষোভের নিন্দা জানিয়েছেন। 

শান্তি বিঘ্নিত করার এবং জনগণের মধ্যে বিভক্তি তৈরির চেষ্টা করার অভিযোগ করেছেন সিএইচপি'র বিরুদ্ধে।

গত বুধবার দুর্নীতি এবং সন্ত্রাসী গোষ্ঠীকে সহায়তার অভিযোগে আরও ১০৫ জনের সঙ্গে ইমামোলুকেও আটক করা হয়েছিল। আটককৃতদের মধ্যে অন্যান্য রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক এবং ব্যবসায়ীরাও রয়েছেন।

এর প্রতিক্রিয়ায় তুরস্কে বিক্ষোভ শুরু হয় যা টানা পাঁচ রাত ধরে চলমান রয়েছে। 

রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার রাতে তুরস্কজুড়ে এক দশকেরও বেশি সময়ের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ অস্থিরতা দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীদের ওপর ছোড়া হয়েছে কাঁদুনে গ্যাস, রাবার বুলেট। বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল লাখো মানুষ। 

রোববার সন্ধ্যার দিকে ইস্তাম্বুলের সিটি হলের কাছে জড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের অনেককে তুরস্কের পতাকা দোলাতে এবং সারিবদ্ধ দাঙ্গা পুলিশের সামনে স্লোগান দিতে দেখা গেছে।

সমালোচকেরা এই দমন-পীড়ন গত বছর স্থানীয় নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের উল্লেখযোগ্য পরাজয়ের পর এরদোয়ানের দুই দশকের বেশি সময় ধরে শাসনকাল দীর্ঘায়িত করার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। 

তবে নতুন এই বিক্ষোভের ফলে এরদোয়ান চাপে পড়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।

ইত্তেফাক/এসআর