রোববার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

বিএনপি মহাসচিব

সামাজিক মাধ্যমের কুতুবরা দেশকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যেতে চায়

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১৬:১৯

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নতুন নতুন আবির্ভূত হওয়া কুতুবদের ভাষা, বক্তব্য বাংলাদেশকে একটি নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যেতে চায় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (২৫ মার্চ) দুপুরে রমনাস্থ ইনস্টিটিউশন অব ইঞ্জিনিয়ার্স (আইইবি) এ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বিএনপি এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

তিনি বলেন, আমাদের সজাগ থাকতে হবে। কারণ বিএনপিই একমাত্র দল যারা প্রতিবার বিপদে-আপদে এসে রুখে দাঁড়িয়েছে। আমরা সবসময় বাংলাদেশকে সমস্ত সংকট থেকে রক্ষা করেছি।

মির্জা ফখরুল আরও বলেন, আজকে যে সংকট সৃষ্টি হচ্ছে, এমন সংকট যেখানে আমাদের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে পর্যন্ত বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। যা আমরা কোনোমতেই মেনে নিতে পারি না। যারা আমাদের দেশকে রক্ষা করে, সংকটের সময় পাশে এসে দাঁড়ায়, তাদেরকে কখনোই আমরা বিতর্কিত হতে দিতে পারি না।

২০২২ সালে বিএনপি ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি দিয়েছে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ৩১ দফা সংস্কার আমার দল দিয়েছে, আমার নেতা তারেক রহমান দিয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে আমার নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ভিশন-২০৩০ দিয়েছেন। যার মাধ্যমে তিনি দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের কথা বলেছেন। রেইনবো স্টেটের কথা বলেছেন, অর্থাৎ দল-মত নির্বিশেষে যেখানে একটা জাতিতে পরিণত হবে। বিচার বিভাগের ন্যায় বিচার নিয়ে বলা হয়েছে। গণমাধ্যমসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কারের কথা বলা হয়েছে। সুতরাং সংস্কার কোন নতুন জিনিস নয়।

অন্তর্বর্তী সরকার সংস্কারের বিশাল পাহাড় জমিয়ে ফেলছেন মন্তব্য করে বিএনপির এই দায়িত্বশীল নেতা বলেন, অনেকগুলো বিষয়ের অবতারণা, যা আমাদের জনগণ বুঝেও না। আমরা সে জন্যেই আমাদের দল থেকে তাদের সংস্কার প্রস্তাবনার প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। কোনটায় একমত, একমত নই সেটাও আমরা জানিয়েছি। আমরা জোর দিয়ে বলেছি, নির্বাচনের কোন বিকল্প নেই। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমাদের গণতন্ত্রে যেতে হবে। গণতন্ত্র ছাড়া আর কোন সিস্টেমে জনগণের কল্যাণ করা যাবে বলে আমরা জানি না।

আজকে নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে যেন নির্বাচন প্রক্রিয়া পিছিয়ে যায়। বিলম্বিত হয়। দেশে একটা নৈরাজ্য সৃষ্টি করা যায় সে কাজটা আজ শুরু হয়েছে বলে জানান তিনি।

ইত্তেফাক/এনএ