হামজা চৌধুরী ঢাকায় পা রাখার পর থেকেই দেশের ফুটবলে বইছে আনন্দের হাওয়া। শুধু তাই নয়, সমর্থকরা আশায় বুক বাঁধছে ভারতের বিপক্ষে জয় পাওয়ার জন্য। তাতে শিলংয়ে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া এএফসি এশিয়ান কাপের বাছাইপর্বের আজকের ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচ নিয়ে দর্শকদের উত্তেজনা উঠেছে তুঙ্গে। যদিও পরিসংখ্যান অনুসারে জামাল ভূঁইয়াদের ভারতের বিপক্ষে খুব একটা সুখকর স্মৃতি নেই। জয়ের পাল্লা ভারী ভারতেরই। প্রতিবার ম্যাচের আগে এটা খানিকটা ভাবনার বিষয় হলেও এবার পরিস্থিতি ভিন্ন। কারণ হামজাকে নিয়ে এবার লাল-সবুজের প্রতি আত্মবিশ্বাস বেশ উঁচুতে।
বাংলাদেশ বনাম ভারত মানেই উত্তেজনা, আবেগ আর চূড়ান্ত নাটকীয়তা! ১৯৭৮ সালে প্রথম দেখা হয়েছিল দুই দলের, যেখানে ভারত ৩-০ গোলের দাপুটে জয় পেয়েছিল। তারপর ভারত বেশির ভাগ ম্যাচে আধিপত্য বিস্তার করলেও, বাংলাদেশও তাদের জয়ের স্বাদ পেয়েছে। ২০০৩ সালে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ গোল্ডেন গোলের মাধ্যমে ভারতকে বিদায় করেছিল, যা আজও বাংলাদেশের ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম গৌরবময় মুহূর্ত। যদিও ঐটাই ছিলো লাল-সবুজের প্রতিনিধিদের ভারতের বিপক্ষে পাওয়া সব শেষ জয়। এরপর কেটে গেছে ১২ বছর খেলে ফেলেছে ৯টি ম্যাচ তবে জয়ের স্বাদ পাননি। খুব কাছে গিয়েও হতাশ হয়ে ড্র করে মাঠ ছাড়তে হয়েছিলো তাদের।
এবার সেই হতাশার স্মৃতি কাটানোই লক্ষ্য। যার জন্য ভারতের শিলংয়ের জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম প্রস্তুত, দুই দলের সমর্থকেরা প্রস্তুত, শেষ মুহূর্তে খেলোয়াড়দের রক্তে উত্তেজনার স্রোত বইছে! ভারত কি ঘরের মাঠে দুর্দান্ত জয় তুলে নিতে পারবে, নাকি বাংলাদেশ আবারও চমক দেখাবে? প্রায় এক যুগ পর তুলে নিবে জয় সব প্রশ্নের উত্তরের জন্য অপেক্ষা মাত্র কয়েক ঘণ্টার!
যদিও এই হাই ভোল্টেজ ম্যাচের আগে আত্মবিশ্বাস পেয়েছে লম্বা সময় পর জয়ের দেখা পেয়েছে। গেল সপ্তাহে আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচে ৩-০ গোলে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয় পেয়েছে ভারত। অন্যদিকে বাংলাদেশ খেলেনি কোনো প্রস্তুতি ম্যাচ তবে অনুশীলন ক্যাম্প করেছে সৌদিতে। তারপর ঢাকায় একদিন অনুশীলন করে ম্যাচের পাঁচ দিন আগেই হাজির হয়েছে শিলংয়ে। এখানে গেল চারদিন ধরে অনুশীলন করেছেন জামাল-হামজারা।
