শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

সৈয়দপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে লাচ্ছা সেমাই

আপডেট : ২৭ মার্চ ২০২৫, ১৫:৩৩

ঈদকে সামনে রেখে নীলফামারীর বাণিজ্যিক শহর সৈয়দপুরে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ভেজাল লাচ্ছা সেমাই তৈরির ধুম পড়েছে। শতাধিক কারখানায় মৌসুমি ব্যবসায়ীরা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর ও ঝুঁকিপূর্ণ উপকরণ দিয়ে নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি করছেন লাচ্ছা সেমাই, যা স্থানীয় শহরের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা শহরে বিক্রির জন্য পাঠানো হচ্ছে।

সেমাই তৈরির কারখানায় অবাধ আলো-বাতাস প্রবেশের সুবিধাসহ উন্নত ব্যবস্থাপনা, কারিগরদের অ্যাপ্রোন ও বিশেষ ধরনের হাতমোজা পরা বাধ্যতামূলক। লাচ্ছার উপকরণ হিসেবে উন্নত ময়দা, ভেজিটেবল ফ্যাটওয়েল, ডিম, ঘি, ডালডা ব্যবহার করার কথা। একশ্রেণির অসাধু ও মৌসুমি ব্যবসায়ী এসব নিয়মনীতির তোয়াক্কা করছে না। শুধু তা-ই নয়, এসব ব্যবসায়ীর পাশাপাশি অনুমোদিত ফ্যাক্টরি মালিকরাও সুযোগের সদ্ব্যবহার করছেন। তাদের কারখানায়ও ভেজাল লাচ্ছা উৎপাদন করা হচ্ছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, সৈয়দপুরের পাটোয়ারীপাড়া, কাজীরহাট, পুরাতন বাবুপাড়া, বাঁশবাড়ি, মিস্ত্রিপাড়া, হাতিখানা, নিয়ামতপুর, মুন্সীপাড়া, গোলাহাটসহ শহরের আনাচকানাচে গড়ে উঠেছে এসব মৌসুমি সেমাই কারখানা। অধিকাংশ সেমাই তৈরির কারখানার নেই বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) অনুমোদন। এছাড়াও কারখানাগুলোতে মানা হচ্ছে না কোনো নিয়মনীতি। নামিদামি অনেক কোম্পানির লেভেল লাগিয়ে স্থানীয়ভাবে তৈরি এসব সেমাই বাজারজাত করছেন মালিকরা।

সৈয়দপুর ১০০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) নাজমুল হুদা জানান, এসব লাচ্ছা সেমাই খেয়ে পেটে পীড়া, ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। তাই অস্বাস্থ্যকর খাবার থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে অনুরোধ করা হচ্ছে।

জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শামসুল আলম জানান, পচা ডিম, পশুর চর্বি এবং কৃত্রিম ঘি ও সুগন্ধিমিশ্রিত সেমাই যাতে তৈরি না হয়, সেজন্য কারখানাগুলোতে নজরদারি রাখা হয়েছে। দ্রুত এসব ভেজাল কারখানায় নিয়মিত অভিযান চালানো হবে। কোনো প্রকার অনিয়ম পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

ইত্তেফাক/এসএএস