ঢাকার ৪০০ বছরের ঈদ ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য ধরে এবার রোজার ঈদে বড় পরিসরে ঈদের জামাতের পাশাপাশি ঈদ আনন্দ মিছিল, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও ঈদ মেলার আয়োজন করেছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন।
বাংলাদেশ চীন-মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রের পাশের পুরনো বাণিজ্যমেলার মাঠে সকাল ৮টা ৩০ মিনিটে শুরু হয় এই ঈদ জামাত, যেখানে নারী-পুরুষ মিলিয়ে এক লাখ মানুষের নামাজ পড়ার বন্দোবস্ত করা হয়।
ঈদের আনন্দ শিশুদের ছুঁয়ে যায় সবচে’ বেশি। তারা ঘুরে ঘুরে ঈদের দিনটি উদযাপন করতে ভালোবাসে। আর শিশুদের ভালোলাগা, আনন্দ ছুঁয়ে যায় বড়দেরও।
‘ঈদ মানেই সম্প্রীতি, ঈদ মানেই ঐক্য; ঈদ এল সুখের বার্তা নিয়ে’ সংবলিত নানা ধরনের সামাজিক ও ঐক্যের বার্তা তুলে ধরা প্ল্যাকার্ড দেখা গেছে মিছিলে অংশ নেওয়াদের হাতে। এ সময় তারা ‘ঈদ মোবারক’সহ নানা ধররেন স্লোগান তোলেন।
ঢাকার মোগল শাসনকর্তা ইসলাম খাঁর আমল থেকেই ঢাকায় ঈদ উৎসবের পরিচয় পাওয়া যায়। খুব ধুমধাম করে ঈদ উৎসব পালিত হতো তখন। ইসলাম খাঁ নবনির্মিত লালবাগ মসজিদে গিয়ে নামাজে যোগ দিতেন।
ঈদের জামাত শেষ হতেই বেজে ওঠে ব্যান্ডপার্টির বাজনা, বাজতে থাকে সেই মধুর সুর ‘ও মোর রমজানের ওই রোজার শেষে’। এসময় হাজার হাজার মানুষ একত্রে ঈদ আনন্দের মেতে ওঠেন।
বর্ণাঢ্য এ মিছিলের সামনে শাহী ঘোড়া ও সামনে-পেছনে ২০টির মত ঘোড়ার গাড়ি ছিল। ছিল ব্যান্ড পার্টি। পাশাপাশি সুলতানি-মোঘল আমলের ইতিহাস সম্বলিত চিত্রকলাও ছিল।