ঢাকাই সিনেমার আলোচিত অভিনেতা জায়েদ খান। নিজের ক্যারিয়ারে অভিনয়ের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি আলোচনায় থাকেন তিনি। প্রায় দশমাস ধরে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন তিনি। অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠান ও নানা স্টেজ পারফর্মেন্স এর কাজে গত বছরের জুন মাসে মার্কিন মুলুকে উড়াল দেন। এরপর জুলাই আন্দোলন ও হাসিনা সরকারের পতনের পর আর দেশের ফেরেননি নায়ক।
বিদেশ-বিভূঁইয়ে থাকলেও দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য মন খারাপ হয় অভিনেতার। বিশেষ করে বাবা-মার কথা ভেবে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েছেন। ঈদ উপলক্ষে সুদূর নিউ ইয়র্ক থেকে ইত্তেফাক ডিজিটালের মুখোমুখি হয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। কথা বলেছেন নিজের শৈশবের ঈদ উদযাপনের স্মৃতি ও নানা বিষয়ে। সাক্ষাৎকার নিয়েছেন শৈবাল আদিত্য।
কেমন কাটছে এবারের ঈদ? ঈদের দিন কি করবেন?
এবারের ঈদ আমেরিকা কাটছে। আসলে সেভাবে তেমন কোন পরিকল্পা নেই ঈদ ঘিরে। নামাজ পড়বো। এখানের বন্ধুরা কলিগরা আছে তাদের সাথে দেখা হবে।
ঈদে আপনার নতুন কিছু এলো কি?
যেহেতু ঈদে আমেরিকাতে আছি, দেশে কাজ শেষ করে আসা হয়নি। আশাকরি সামনের ঈদে ভালো কিছু দর্শক পাবেন।
ঈদে কি উপহার পেলেন?
পাঞ্জাবী উপহার পেলাম। দেশ থেকেও বিভিন্ন কোম্পানী পাঞ্জাবী উপহার পাঠিয়েছে।
ঈদে কি উপহার দিলেন?
দেশে উপহার পাঠিয়েছি। এখানেও দিয়েছি। (হেসে) ডলারে উপহার।
ছেলেবেলার ঈদ উদযাপনগুলো কেমন ছিলো? মজার কোনো স্মৃতি থাকলে বলুন-
ছোটবেলার পিরোজপুরের ঈদ উদযাপন সবচেয়ে ভালো ছিল। সালামী পেলে সিনেমা হলে সিনেমা দেখতে চলে যেতাম। আর মনে আছে, মহল্লার মধ্যে দোকান দিতাম। জোর করে সবাইকে কোমল পানীয় আর চিপস ধরিয়ে দিয়ে টাকা নিতাম। বাবা জুতা কিনে দিয়েছিল বালিশের নিচে নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম আর বারা বার দেখছিলাম। শৈশবের পর বড় হওয়ার পরও ঈদের সালামির জন্য অপেক্ষা থাকত। বাবা লুঙ্গিতে ঈদ সালামি রেখে দিতাম। আমি কাছে গেলেই টাকা বের করে দিতেন। সব সময় বাবা আমাকেই সবচেয়ে বেশি সালামি দিতেন। কখনো যদি দেখা যেত, মা আগেই বেশি দিয়েছেন, তখন বাবার কাছে বায়না ধরতাম। বাবার কাছ থেকে সব সময় বেশি নিতাম। এগুলো মনে পড়েই কষ্ট লাগছে।
ঈদ উপলক্ষে ভক্ত-শ্রোতা-দর্শকদের উদ্দেশ্যে যদি কিছু বলতে চান-
সকল ভক্তদের জানাই অসীম ভালোবাসা। আমাকে আপনাদের দোয়ায় রাখবেন ভালোবাসায় রাখবেন। বাংলাদেশের সবাইকে মিস করছি, সবচেয়ে বেশি মিস করছি বাবা-মা এর কবর জিয়ারত। সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা। ঈদ মোবারক।