তুরস্কে যাওয়ার পর থেকে নানারকম বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ফেনারবাচে কোচ এবার খবরের শিরোণামে এলেন গালাতাসারাইয়ের কোচের নাক চেপে ধরে!
বুধবার (২ এপ্রিল) তুর্কি কাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে মুখোমুখি হয় এই দুই দল। ২৭ মিনিটের মধ্যে ভিক্টর ওসিমেনের জোড়া গোলে দুই দফায় এগিয়ে যায় গালাতাসারাই। প্রথমার্ধেই একটি গোল ফিরিয়ে দেয় ফেনারবাচে। শেষ পর্যন্ত ওই ২-১ ব্যবধানেই ম্যাচ জিতে নেয় গালাতাসারাই।
তুরস্কের চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী এই দুই দলের আগের বহু লড়াইয়ের মতো এ দিনও ম্যাচজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে বারবার। খেলা বন্ধও হয়েছে দফায় দফায়। পুলিশ নামিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে হয়। হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কিতে দুই দলের তিন ফুটবলারকে লাল কার্ড দেখানো হয় ম্যাচের শেষ দিকে।
ম্যাচ শেষেও সেসবের রেশ ছিল। কিছু একটা বলতে বলতে হেঁটে চলে যাচ্ছিলেন গালাতাসারাই কোচ ওকান বুরুক। মরিনিয়ো তখন ছিলেন ফুটবলার ও স্টাফদের সঙ্গে একই সারিতে। সেখান থেকে তেড়ে গিয়ে বুরুকের নাক চেপে ধরেন ফেনারবাচে কোচ। খুব বেশিক্ষণ অবশ্য চেপে ধরে রাখেননি। বুরুকও মুখ সরিয়ে নেন দ্রুত। তবে পরমুহূর্তেই নাটকীয়ভাবে মাঠে পড়ে যান গালাতাসারাই কোচ।
ম্যাচের পর এই ঘটনা নিয়ে হালকা করে প্রতিক্রিয়াও জানান বুরুক।
‘আমি যখন চলে যাচ্ছিলাম, সে পেছন থেকে এসে আমার নাক পিষে দেয়। হালকা একটু আঁচড় লেগেছে নাকে। অবশ্যই এটা খুব ভালো ও স্টাইলিশ কিছু নয়! আমি বাড়িয়ে বলতে চাই না, তবে খুব স্টাইলিশ কিছু ছিল না এটি।’
গালাতাসারাই ক্লাবের সহ-সভাপতি মেতিন ওজতুর্কের প্রতিক্রিয়া অবশ্য ছিল আরও কড়া। মরিনিয়োর আগের ঘটনাগুলোর কথা উল্লেখ করে একহাত নেন তিনি।
‘তার (মরিনিয়োর) সাম্প্রতিক এই ঘটনা শুধু গালাতাসারাইয়ের কোচের ওপরই, তুর্কি ফুটবলের ওপরও আক্রমণ। এটাই মরিনিয়ো… জানি না, এত সাহস সে পায় কোথায়! দুনিয়ার আর কোথায় গিয়ে সে এরকম করতে পারবে! তুরস্ক কোথায় বলে সে মনে করে!’
তবে এই ঘটনায় স্যোশাল মিডিয়ায় মরিনিয়োকে ধুয়ে দিতে ছাড়েনি গালাতাসারাই। মরিনিয়োর দিকে তাকিয়ে বুরুকের হাস্যোজ্জ্বল একটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশন দিয়েছে,‘আক্রমণ করা উচিত নয়, হজম করা উচিত।’
মরিনিয়োর কার্টুন বানিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করে সেখানে তারা লিখেছে, ‘গালাতাসারাই এভাবেই পাগল বানিয়ে ছাড়ে।’ এছাড়াও নানারকম মজা তারা করেছে একের পর এক পোস্টে।
এই মৌসুমে আগেও বেশ কয়েকটি বিতর্কে জড়িয়েছেন মরিনিয়ো। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যটি ছিল গত ফেব্রুয়ারিতে গালাতাসারাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচেই। সেই ম্যাচের পর রেফারিদের কক্ষে গিয়ে আপত্তিকর মন্তব্যের জের ধরে চার ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছিলেন ফেনারবাচে কোচ। আপিলে সেই নিষেধাজ্ঞা কমে আসে দুই ম্যাচে। সেই ঘটনায় পর্তুগিজ এই কোচের বিরুদ্ধে বর্ণবাদের অভিযোগও এনেছিল গালাতাসারাই।