বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

হঠাৎ ঝড়ে লন্ডভন্ড পুরো গ্রাম, ভেঙে পড়েছে ঘরবাড়ি-দোকানপাট

আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৫, ২১:২৫

লালমনিহাটের পাটগ্রামে কালবৈশাখী ঝড়ে অন্তত শতাধিক বসতঘর ও ২০ টি দোকানপাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় গাছপালা ও বৈদ্যুতিক খুঁটি উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে প্রায় ১০ ঘণ্টা।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) ভোরে পাটগ্রাম পৌরসভা, পাটগ্রাম সদর, জগতবেড়, জোংড়া এবং দহগ্রাম ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম এলাকায় উপর দিয়ে তীব্র বাতাসের সঙ্গে ঝড়ের কারণে এই ক্ষতি হয়।

স্থানীয়রা জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর ৫ টার দিকে বৃষ্টি আর তীব্র কালবৈশাখী ঝড় শুরু হয়। এসময় পাটগ্রাম উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের গ্রাম এলাকায় শতাধিক কাঁচা-পাকা বাড়িঘর ও দোকানপাট ভেঙে পড়ে। ঝড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি এবং তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় পাটগ্রাম উপজেলায় প্রায় ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকে। এ সময় প্রবল বৃষ্টি আর বাতাসে কয়েক শ’ একর ভুট্টা ও সবজি ক্ষেত মাটিতে হেলে পড়ে ব্যাপক ক্ষতির শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

পাটগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা ও কৃষিবিদ আব্দুল গাফ্ফার জানান, ব্যাপক ঝড় ও বৃষ্টিতে এ উপজেলার ৮ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার প্রায় ২৬০ হেক্টর ভুট্টা ক্ষেত এবং ৫ হেক্টর সবজি ক্ষেত হেলে পড়েছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ যাচাই করতে কয়েকদিন সময় লাগবে। বিষয়টি জেলা কৃষি অধিদপ্তরে জানানো হয়েছে।

পাটগ্রাম পৌর বাসিন্দা আকাব্বর আলী বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে হঠাৎ ঝড়ে আমার ঘর উল্টে যায়। কোনোমতে পরিবারের লোকজন নিয়ে বের হয়ে প্রাণে বেঁচে গেছি। আমি একজন দিনমজুর ঘরবাড়ি ভেঙে যায় হতাশায় পড়ছি।

পাটগ্রাম উপজেলার প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আতাউর রহমান বলেন, ঝড়ে প্রায় ১২০ টি ঘর বাড়ি ও ১৫ টি দোকানপাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বা দায়িত্বরতদেরকে ক্ষয়ক্ষতির উল্লেখ করে তালিকা দিতে বলা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করা হয়েছে।

পাটগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিল্লুর রহমান বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য বরাদ্দ চেয়ে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করা হবে।

ইত্তেফাক/এপি