বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

সাতবাড়ীয়া পদ্মা নদীর পাড় এখন সম্ভাবনাময় পর্যটনকেন্দ্র

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:২০

কথায় বলে, সাগরপাড়ে দাঁড়ালে সমুদ্রের বিশালতায় নিজেকে খুব ক্ষুদ্র মনে হয়। সাগরের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য আর বিশালতা উপভোগ করতে হলে সাগরপাড়ে যাওয়া সম্ভব না হলে ঘুরে আসা যায় পাবনার সুজানগরের পদ্মার ওপাড় থেকে। ইতিমধ্যে উপজেলার সাতবাড়ীয়া সংলগ্ন বিশাল বিস্তীর্ণ পদ্মার পাড় মিনি কক্সবাজার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

নদীর অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে শুক্র, শনি ও ছুটির দিনে সুজানগরসহ আশপাশের মানুষ জন পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধব নিয়ে ছুটে আসছেন এখানে। নৌকা বা স্পিড বোটে ঘুরে বেড়াচ্ছে নদীতে। অনেকে আসছেন বনভোজনে। তারা বলছে, সরকারি উদ্যোগ নিয়ে এই স্থানটি দর্শনীয় পর্যটনকেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।

ইতিমধ্যে স্থানীয় কিছু যুবক পদ্মা নদীর ওপাড়ে ছোট্ট পরিসরে পদ্মা পার্ক প্রতিষ্ঠা করেছে। এতে পদ্মাপাড়ের গুরুত্ব আরও বেড়ে গেছে। তবে পদ্মা পার্কের চেয়ে পর্যটকদের টান শুধু পদ্মাপাড়ের সৌন্দর্য উপভোগের দিকে। বিশেষ করে শুক্র এবং শনিবার ছুটির দিন সুজানগর উপজেলা এবং আশপাশের উপজেলার শত শত ভ্রমণপিপাসু নারী-পুরুষ পর্যটক পদ্মাপাড়ে ছুটে আসেন।

পদ্মাপাড়ের নারুহাটি গ্রামের বাসিন্দা ও সাবেক ইউপি সদস্য খলিলুর রহমান বলেন, প্রতিদিন কম-বেশি পর্যটক আনন্দভ্রমণে সাতবাড়ীয়া পদ্মা নদীর পাড়ে আসেন। তবে শুক্র এবং শনিবার ছুটির দিন বিকাল ৪টা থেকে শত শত নারী-পুরুষ পর্যটক মাইক্রোবাস, সিএনজি এবং মোটরসাইকেলসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহনযোগে পদ্মা নদীর পাড়ে আনন্দভ্রমণে আসেন।

পদ্মাপাড়ে আনন্দভ্রমণে আসা পাবনা সরকারি অ্যাডওয়ার্ড কলেজের সহযোগী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রচুর দর্শনার্থী আসায় এখানে বাণিজ্যিকভাবে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা যেতে পারে। 

সুজানগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মীর রাশেদুজ্জামান রাশেদ বলেন, সাতবাড়ীয়া পদ্মা নদীর ঐ পাড়ে পর্যটন শিল্পের অপার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে সরকারিভাবে পর্যটনকেন্দ্র গড়ে তোলা সময়ের ব্যাপার।

ইত্তেফাক/এসএএস