শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

কুমিল্লায় দামী ওষুধের লেভেল লাগিয়ে কমদামী ইনজেকশন বিক্রি

আপডেট : ১১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:৫৫

৩৪ হাজারের বেশি টাকা নিয়ে রোগীকে একটি ইনজেকশন দেন চিকিৎসকের সহকারী। তবে ইনজেকশনের গায়ের লেভেল খুলার পরই দেখা যায় চক্ষু চড়ক গাছ হওয়ার মত দৃশ্য। দেখা যায় লেভেলের নিচে আরেক ওষুধের লেভেল। যা ডাক্তারের প্রেস্ক্রাইব করা ওষুধের চেয়ে যার ৭ গুণ কম। ঘটনাটি ঘটেছে ‘মুন স্পেশালাইজড হসপিটাল’ নামে কুমিল্লা শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে।

ভুক্তভোগী রোগীর মেয়ে ফারজানা আক্তার বিথী বলেন, ছয় মাস ধরে তার মার চিকিৎসা করছেন এই হাসপাতালে কর্মরত ডা. মো. আশরাফ উল মতিন। গত শনিবার হাড়ের দুর্বলতার জন্য রোগীকে আকলাস্টা (Aclasta 5mg) নামের একটি ইনজেকশন প্রেস্ক্রাইব করেন তিনি। জানান, ইনজেকশনটির বাজার দর ৩৮ হাজার টাকা। 

স্থানীয় ফার্মেসি ঘুরে নিশ্চিত হয়েছে, এই ইনজেকশনের বাজার মূল্য ৩৬-৩৮ হাজার টাকা। তবে ডা. আশরাফের সহকারী বিজয় সরকার রোগীর পরিবারকে ৩৪ হাজার ৫০০ টাকায় ইনজেকশনটি এনে দেওয়ার কথা বলেন। 

কথামতো, সেই ইনজেশন এনে গতকাল বৃহস্পতিবার রোগীকে ইনজেকশন প্রয়োগ করেন বিজয়। ইনজেকশন প্রয়োগের পর ফারজানা ইনজেকশনের বোতলটি নিয়ে তার লেবেল পরীক্ষা করেন। আকলাস্টার লেবেলটি টেনে সরাতেই ভেসে ওঠে জোলেরন (Xoleron) নামের আরেক ওষুধের নাম। এই ইনজেকশন কুমিল্লার বিভিন্ন ফার্মেসিতে ৮-৫ হাজার টাকার মধ্যেই পাওয়া যায়। 

ডা. আশরাফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, বৃহস্পতিবার তিনি হাসপাতালে ছিলেন না। তার অনুপস্থিতিতে এই 'অসদুপায়' অবলম্বন করেছেন বিজয়। 
সহকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

কুমিল্লার সিভিল সার্জন ডা. আলী নুর মো. বশির আহমেদ বলেন, ‘আমার কাছে এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/এমএএস