বসুন্ধরা-মোহামেডান ম্যাচটা উত্তাপে ভরে যাবে সেটি আগেই জানা ছিল। ম্যাচের শুরুতেই দুই শিবিরে তর্কযুদ্ধ, এরপর ঢিল ছোড়া, চেয়ার ছোড়া, খেলা বন্ধ থাকা সবই হয়েছে। এক সময় ঢাকা স্টেডিয়ামে ঘরোয়া ফুটবলে এমন উত্তেজনা দেখেছেন দর্শক। খেলা শেষে ফুটবলাররা তখনো মাঠের ভেতরে। দপ করে ফ্লাড লাইট বন্ধ করে দেওয়া হয়। তা দেখে শঙ্কায় পড়ে যান মোহামেডান সমর্থকরা।
কিংসের খেলোয়াড়রা সহজেই ড্রেসিং রুমে চলে গেলেও মোহামেডান ফুটবলার, কোচ, কর্মকর্তারা অন্ধকারে ছুটোছুটি করেন। সাবেক ফুটবলার সাব্বির জানালেন আপত্তি, এভাবে অন্ধকার করে দেওয়া ঠিক হয়নি। আরেক সাবেক ফুটবলার রিয়াজ বললেন, 'এখানে নিরাপত্তার বিষয়টা দেখা উচিত ছিল। বাফুফের সদস্য মঞ্জুরুল আলম মঞ্জুরও আপত্তি, ফ্লাড লাইট নিভিয়ে দিলে নিরাপত্তা থাকে না। যে কোনো কিছু ঘটতে পারে।'
দায়িত্বে থাকা পুলিশ অফিসার বলেন, 'এটা বাফুফে করেছে। সব খেলোয়াড় মাঠে, দুই দল এখনো বের হয়নি। কেন বাফুফে লাইট বন্ধ করবে। খেলাটা তো বাফুফের, তাই না।'
এসব ভিড়ে অন্ধকারে কথা বলতে শঙ্কা বোধ করছিলেন জোড়া গোল করে ম্যাচ জেতানো নায়ক সুলায়ামন দিয়াবাতে। ম্যাচ নিয়ে জানালেন এখনও লিগ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পথে চলে যাইনি আমরা। আল্লাহ ভরসা। সামনে অনেক দূর যেতে হবে।'
রাকিবের হাতে বল লেগেছিল জানিয়ে দিয়াবাতে বলেন, 'ক্লিন হ্যান্ডবল ছিল রাকিবের।' কিংসের সমর্থকদের ব্যাপারে বলেছেন, 'খুবই দুর্ব্যবহার করেছেন তারা।' মোহামেডান কোচ আলফাজ আহমেদ বলেন, 'ট্রফি জয়ের পথ এখনো অনেক দূর। আরও সাত রাউন্ড খেলা রয়েছে। কী হয় কেউ জানে না।'