মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে কিশোরীকে পাঁচ বন্ধু মিলে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে নয়ন মোল্লা (২০) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৩ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তার আগে, শনিবার দিবাগত রাতে টঙ্গিবাড়ী থানায় ভুক্তভোগীর বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। পরে উপজেলার আব্দুল্লাপুর থেকে নয়নকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, নয়ন মোল্লার পূর্ব পরিচিত হওয়ায় প্রায় ওই তরুণীর বাড়িতে যাওয়া আসা করতো। এতে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। প্রায় ৭-৮ মাসে আগে নয়ন কৌশলে ওই তরুণীকে জড়িয়ে ধরার একটি ছবি ধারণ করে রাখে। পরে নয়ন ওই ছবি দেখিয়ে তরুণীকে কুপ্রস্তাব দেয়। এতে মেয়েটি রাজি না হলে ছবিটি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয় নয়ন। পরে বিষয়টি জানতে পেরে নয়নের বন্ধু জীবন শেখ (২০) গত ২৮ মার্চ প্রেমিক নয়নের সঙ্গে বিষয়টি মীমাংসা করার কথা বলে রাত সাড়ে ৮টার দিকে ওই তরুণীকে তাদের বাড়িতে নিয়ে যায়।
এ সময় জীবন শেখের বাড়িতে কেউ না থাকায় নয়ন মোল্লা, জীবন শেখসহ ওই বাড়িতে পূর্ব থেকে থাকা আপন বেপারী (১৯), আরমান (১৮) ও মিরাজ (১৯) তাকে ধর্ষণ করে এবং মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে। পরে গত শনিবার ৫টার দিকে ধারণ করা ডিডিও এবং নগ্ন ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে মেয়েটির বাবা বিষয়টি জানতে পেরে থানায় খবর দিলে পুলিশ নয়নকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়।
এ ব্যাপারে টঙ্গিবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহিদুল ইসলাম বলেন, তরুণীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৫ জনকে আসামি করে টঙ্গিবাড়ী থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনায় নয়ন মোল্লা নামে মেয়েটির কথিত প্রেমিককে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুর রহমান বলেন, এটি একটি পরিকল্পিত ধর্ষণের ঘটনা। অভিযোগের পর রাতেই ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে ঘটনার কথা স্বীকার করেছে। মূলত অপর ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কের জেরে ক্ষুব্ধ ছিল নয়ন। এরই প্রেক্ষিতে সহযোগীদের নিয়ে ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় সে। বাকি আসামিদেরও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।