বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

স্বর্ণা দাসকে ছাড়া পরিবারের প্রথম নববর্ষ, বিজিবির মানবিক সহায়তা

আপডেট : ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ১২:১৩

মৌলভীবাজার সীমান্তে গত ১ সেপ্টেম্বর বিএসএফের গুলিতে নিহত স্বর্ণা দাসের মৃত্যুর পর এটি ছিল তার পরিবারের প্রথম পহেলা বৈশাখ। মেয়েকে হারানোর শোকে দগ্ধ পিতামাতার পাশে দাঁড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

নববর্ষের দিনে বিয়ানীবাজার (৫২ বিজিবি) ব্যাটালিয়নের পক্ষ থেকে স্বর্ণার পরিবারকে উন্নত জাতের ফিজিয়ান গাভী উপহার দেওয়া হয়। গাভীটি এতদিন বিজিবির নিজস্ব খামারে লালন-পালন করা হয়েছিল।
 

গাভী উপহার দেওয়ার পাশাপাশি নববর্ষের উৎসবে স্বর্ণার পরিবারকে সঙ্গ দেয় বিজিবির সদস্যরা। সেই সঙ্গে ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটির প্রতিনিধি দলও নগদ অর্থ সহায়তা দিয়ে পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও সহযোগিতা জানায়।


স্বর্ণার বাবা পরেন্দ্র দাস বলেন, আমরা আমাদের মেয়েকে হারিয়ে ভীষণ শোকাহত। বিজিবি শুরু থেকেই আমাদের পাশে ছিল। আজকে উন্নত জাতের গাভী উপহার দেওয়ায় বিজিবির মহাপরিচালক ও পুরো ব্যাটালিয়নকে ধন্যবাদ জানাই।


বিয়ানীবাজার ব্যাটালিয়নের (৫২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মেহেদী হাসান বলেন, স্বর্ণা দাসের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক একটি ঘটনা। আমরা শুরু থেকেই এ পরিবারের পাশে আছি, সবসময়ই থাকব। শোকের এই দিনে তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের কর্তব্য বলে মনে করি।

এসময় বিজিবির মিডিয়া কনসালটেন্ট সাঈফ ইবনে রফিক, সিনিয়র সাংবাদিক সালেহ বিপ্লব, মোহসীন উল হাকিম, ইয়ুথ জার্নালিস্ট কমিউনিটির সভাপতি আহসান কামরুল, সাধারণ সম্পাদক সজিব খান, দপ্তর সম্পাদক ওমর ফারুকসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।


নববর্ষের দিনে বিজিবির মানবিক উদ্যোগ শুধু স্বর্ণা দাসের পরিবারকেই সাহস ও সমবেদনা দেয়নি, স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝেও অনুপ্রেরণা ও আশার আলো জুগিয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।


উল্লেখ্য, গত ১ সেপ্টেম্বর মৌলভীবাজারের কুলাউড়ার লালারচক সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ'র গুলিতে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী স্বর্ণা দাস নিহত হয়।

ইত্তেফাক/পিএস