হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৩০ কোটি ডলারের কেন্দ্রীয় তহবিল স্থগিত করায় যুক্তরাষ্ট্রের শিক্ষা দপ্তরের নিন্দা জানিয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। খুদে ব্লগ লেখার সাইট এক্সে দেওয়া এক পোস্টে ওবামা এমন প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের বেশ কিছু দাবি সোমবার (১৪ এপ্রিল) প্রত্যাখ্যান করেছে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। হার্ভার্ডের এমন অবস্থান গ্রহণের কয়েক ঘণ্টার মাথায় ট্রাম্প প্রশাসন ঘোষণা দেয়, তারা বিশ্ববিদ্যালয়টির জন্য ২৩০ কোটি ডলারের ফেডারেল তহবিল স্থগিত করছে।
এক্স হ্যান্ডলে দেওয়া পোস্টে ওবামা যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে পুরোনো বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ডের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছেন। তিনি লিখেছেন, শিক্ষাঙ্গনের স্বাধীনতা হরণের বেআইনি ও আত্মঘাতী চেষ্টা প্রত্যাখ্যানের মধ্য দিয়ে হার্ভার্ড অন্য উচ্চতর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। তারা এমন ধরনের দৃঢ় পদক্ষেপ নিয়েছে যেন হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সব শিক্ষার্থী বুদ্ধিভিত্তিক চর্চা, যথাযথ বিতর্ক, পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধের পরিবেশ থেকে লাভবান হতে পারে। আশা করছি, অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোও তা অনুসরণ করবে।
হার্ভার্ড হলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কোনো বড় বিশ্ববিদ্যালয়, যেটি হোয়াইট হাউসের নীতি পরিবর্তনের চাপকে উপেক্ষা করেছে।
Harvard has set an example for other higher-ed institutions – rejecting an unlawful and ham-handed attempt to stifle academic freedom, while taking concrete steps to make sure all students at Harvard can benefit from an environment of intellectual inquiry, rigorous debate and… https://t.co/gAu9UUqgjF
— Barack Obama (@BarackObama) April 15, 2025
গত শুক্রবার হার্ভার্ডকে লেখা এক চিঠিতে প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা ব্যবস্থা ও নেতৃত্বে সংস্কার আনার আহ্বান জানিয়েছিল প্রশাসন। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈচিত্র্য, সমতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক কর্মসূচি বাদ দেওয়া, কিছু বিভাগে অডিট চালানোসহ প্রতিষ্ঠানটির কাছে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়।
সোমবার এক চিঠিতে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট অ্যালান গারবার বলেন, কেন্দ্রীয় তহবিল ধরে রাখার আশায় তারা এসব দাবি মেনে নিতে পারবেন না।
চিঠিতে গারবার লিখেছেন, ক্ষমতায় যে দলই থাকুক না কেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কী পড়াতে পারবে, কাকে ভর্তি করতে পারবে, নিয়োগ দিতে পারবে এবং পড়াশোনা ও অনুসন্ধানের কোন ক্ষেত্রগুলো অনুসরণ করতে পারবে, তা কোনো সরকারেরই নির্ধারণ করা উচিত নয়।