বাংলা নববর্ষের প্রথম দিনেই বলিউডের ‘ভাইজান’ খ্যাত অভিনেতা সালমান খানকে বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিল অজ্ঞাত পরিচয় এক ব্যক্তি। সেই ব্যক্তিটিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে গ্রেপ্তার ব্যক্তি মানসিক ভারসাম্যহীন বলে তার পরিবার দাবি করেছে।
গত সোমবার (১৪ এপ্রিল) মুম্বাইয়ের ওরলিতে পরিবহন বিভাগের দপ্তরে হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে সালমান খানের উদ্দেশে একটি হুমকির বার্তা পাঠানো হয়েছিল। এই বার্তায় বলা হয়েছিল যে সালমান খানের বাড়ির ভেতরে গিয়ে তাকে হত্যা করবে, আর অভিনেতার গাড়ি বোমা মেরে উড়িয়ে দেবে। গুজরাটের বরোদার কাছে এক গ্রাম থেকে সালমানকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মুম্বাই পুলিশের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হুমকিদাতা ২৬ বছরের তরুণ মায়াঙ্ক পাণ্ডে বরোদার কাছের গ্রামের বাসিন্দা। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির ফোনের ডেটা ও বিভিন্ন কর্মকাণ্ড এবং পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা হয়েছে তাদের। তিনি মানসিকভাবে অসুস্থ। তার চিকিৎসাও চলছে। তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় খুবই সক্রিয় তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজের প্রচারণা পাওয়ার ইচ্ছা থেকেই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে এমন একটি মেসেজ সালমানের উদ্দেশে দিয়েছেন তিনি।
প্রথমে পুলিশ সমন পাঠিয়ে দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তাকে হাজির থাকার জন্য আদেশ পাঠিয়েছিল। কিন্তু এই মামলার গুরুত্ব বুঝে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশি তদন্তে উঠে এসেছে যে হুমকির বার্তা পাঠানো ব্যক্তিটি মানসিক ভারসাম্যহীন। এরইমধ্যে কিছু ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে তাকে। তার নামে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছে।
পরিবারের দাবি যে তরুণের এখন চিকিৎসা চলছে। তরুণের পরিবারের দাবি যে কতটা সত্য, এর তদন্ত করছে পুলিশ।
২০২৪ সালের ১৪ এপ্রিল বান্দ্রায় সালমানের গ্যালাক্সি অ্যাপার্টমেন্টের বাইরে মোটরবাইকে সওয়ারি হয়ে দুজন অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তি চার রাউন্ড গুলিবর্ষণ করেছিলেন। এই হামলার সময় ভাইজান বাড়িতে ছিলেন।
সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে এ হামলার ঘটনা দেখা গিয়েছিল। তারপর থেকে সালমানের বাসার বাইরে সুরক্ষাব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়। তার আবাসনের বারান্দা বুলেটপ্রুফ করা হয়। এই বলিউড সুপারস্টারের সুরক্ষার জন্য আনা হয় বিশেষ বুলেটপ্রুফ গাড়ি।