বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (ববি) নিষিদ্ধ সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেত্রীসহ তিনজনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নম্বর গেটের সামনে থেকে তাদের আটক করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে রাতে পুলিশ তাকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
আটক নেত্রী টিকলি শরিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি খুলনা মহানগর শাখা ছাত্রলীগের উপ-ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন। তবে অন্য দুজন ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত কিনা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন শান্ত বলেন, ‘নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেত্রী টিকলি শরীফ জুলাই আগস্ট আন্দোলনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপরে হামলা চালায় সে খুলনা মহানগর ছাত্রলীগের সহ ছাত্রী বিষয় সম্পাদক বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের এক সক্রিয় কর্মী এখনো ফেসবুকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মাধ্যমে দেশকে অস্থিশীলতা পাঁয়তারা চালাচ্ছে। আজকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সামনে গোপন মিটিং এর থাকা অবস্থায় সাধারণ শিক্ষার্থীরদের নিয়ে ছাত্রদল বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের মাধ্যমে পুলিশের হাতে তুলে দেয় হয়।’
তিনি আরও বলেন, আমরা একটা বিষয় আবারও নজির স্থাপন করেছি ছাত্রদল মব জাস্টিসের বিশ্বাস করে না ছাত্রদল সব সময় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ভবিষ্যতেও নিষিদ্ধ সংগঠনদ যে কোনো অপতৎপরতা রুখে দিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল সদা প্রস্তুত থাকবে।
এ সময় তার সঙ্গে থাকা একই বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের দুই শিক্ষার্থী-মামুন ও তরিকুলকেও আটক করা হয়।
আটকের পর টিকলি শরিফ বলেন, ‘আমার কাল বুধবার সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা। আমি লাইব্রেরিতে পড়ছিলাম। সন্ধ্যায় বাইরে বের হলে আমার জুনিয়রদের সঙ্গে দেখা হয়, আমরা চা খেতে গেলে সেখান থেকে আমাদের আটক করা হয়।’
ছাত্রদলের সদস্য মিনহাজুল ইসলাম বলেন, খুলনা মহানগর ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক এবং বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের কর্মী ক্যাম্পাসে এসে গোপন কার্যক্রম চালায় তখন আমার জুনিয়ররা তাকে দেখে, তখন আমরা আটক করে প্রক্টর ম্যামের মাধ্যমে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. সোনিয়া খান সনি বলেন, ‘কিছু শিক্ষার্থী আমাকে জানানোর পর আমি ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলে অভিযুক্তদের হস্তান্তর করি। পরবর্তী ব্যবস্থা পুলিশ আইন অনুযায়ী গ্রহণ করবে।’