ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় নতুন করে আরও অন্তত পাঁচ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এ ছাড়াও গত ছয় সপ্তাহে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে কোনো মানবিক সহায়তাসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল।
জাতিসংঘ বলছে, গত ১৮ মার্চ হামাসের সঙ্গে সই হওয়া যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেঙে দেয় ইসরায়েল। সেই সময় থেকেই এখন পর্যন্ত অন্তত পাঁচ লাখ গাজাবাসী নতুন করে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন।
ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছেন, ‘সুষ্পষ্ট নীতি’ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে তার দেশ। আর তা হলো- হামাসকে চাপে রাখার ‘হাতিয়ার’ হিসেবে গাজায় সব ধরনের মানবিক সহায়তাসামগ্রী প্রবেশ পুরোপুরি বন্ধ রাখা।
গত ছয় সপ্তাহে গাজায় কোনো মানবিক সহায়তাসামগ্রী ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরায়েল। এর পাশাপাশি গাজাবাসীর ওপর দমন–পীড়ন জোরদার করেছে ইসরায়েল। প্রতিদিনই নতুন নতুন হামলা চালানো হচ্ছে।
গাজার চিকিৎসা সূত্রের বরাতে আল-জাজিরা জানিয়েছে, বুধবার (১৬ এপ্রিল) সকালের দিকেই ইসরায়েলের হামলায় অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন।
হামাস নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, দীর্ঘ ১৮ মাস ধরে চলাকালীন যুদ্ধে গাজা উপত্যকায় নারী ও শিশু মিলিয়ে অন্তত ৫১ হাজার ২৫ জন নিহত হয়েছেন।
এ ছাড়াও আহতের সংখ্যা ১ লাখ ১৬ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর আগে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলের ভূখণ্ডে হামলা চালায় হামাস। সেদিন থেকেই গাজায় নির্বিচার হামলা শুরু করে ইসরায়েল। হামাসের ওই হামলায় অন্তত ১ হাজার ২০০ মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে ইসরায়েল সরকার। এছাড়াও জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় আরও ২৫১ জনকে।