মেহেরপুরে পেঁয়াজ চাষি সাইফুল শেখের আত্মহত্যার প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করছে বাংলাদেশ খাদ্য নিরাপত্তা নেটওয়ার্ক (খানি)। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) খানির প্রতিনিধি দল এবং মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ মণ্ডল চাষি সাইফুল ইসলামের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
এর আগে বুধবার খানির সদস্য সংগঠন, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি, কৃষি গবেষক, লেখক ও সাংবাদিকেরা কৃষক সাইফুল শেখের পরিবার, অন্যান্য কৃষক ও স্থানীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে আজ মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ মণ্ডল খানির পরিদর্শক দলকে সঙ্গে নিয়ে কৃষক সাইফুল শেখের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন।
এ সময় ইউএনও পলাশ মণ্ডল উপজেলা সমাজকল্যাণ তহবিল থেকে শোকাহত পরিবারের হাতে নগদ অর্থ তুলে দেন। এ ছাড়া, বেসরকারি ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান আশার মাধ্যমে কৃষক সাইফুলের ঋণ মওকুফের ব্যবস্থা, ভুক্তভোগীর মেয়ের জন্য শিক্ষাবৃত্তি এবং ভিজিএফের আওতায় মাসিক ৩০ কেজি করে চাল সরবরাহের প্রতিশ্রুতি দেন ইউএনও।
বর্গাচাষি সাইফুলের পরিবারকে কৃষিকাজ চালিয়ে নিতে চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় বীজ ও সার সরবরাহের আশ্বাসও দিয়েছেন ইউএনও।
পরিবারের সদস্যদের ইউএনও বলেন, যা ঘটেছে তা অত্যন্ত মর্মান্তিক। আপনাদের যে ক্ষতি হয়েছে, আমরা তা পোষাতে না পারলেও আপনাদের প্রয়োজনে আমরা সবাই পাশে আছি।
এ সময় কৃষক সাইফুল শেখের ঘটনাটি সরকারের নজর আনতে সহায়তা করায় খানির প্রশংসা করেন।
খানি সহসভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকি বলেন, খানি এই ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনা প্রতিরোধে সুপারিশ প্রণয়নের জন্য কাজ করছে।
খানি দলের সদস্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নেটওয়ার্কটির সহসভাপতি রেজাউল করিম সিদ্দিকী, সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চের নির্বাহী প্রধান গৌরাঙ্গ নন্দী, ইনসিডিন বাংলাদেশের মুশফিক সাব্বির, লেখক ও গবেষক পাভেল পার্থ, অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজার অমিত রঞ্জন দে, সাংবাদিক সাইফুল মাসুম, পার্টিসিপেটরি রিসার্চ অ্যান্ড অ্যাকশন নেটওয়ার্ক- প্রানের প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটর উম্মে সালমা প্রমুখ।