রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

বাঁচার আকুতি ইসরায়েলি জিম্মির: নতুন ভিডিও প্রকাশ করল হামাস

আপডেট : ২০ এপ্রিল ২০২৫, ১৩:১৫

ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আবারও একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে, যেখানে ইসরায়েলি বন্দি এলকানা বোহবোটকে দেখা যাচ্ছে পরিবারের উদ্দেশে আবেগঘন বার্তা দিতে। এটি তার তৃতীয় ভিডিও প্রকাশ জানিয়েছে দ্য টাইমস অব ইসরায়েল। 

রোববার (২০ এপ্রিল) টাইমস অব ইসরায়েলের বরাতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা। 

ভিডিওতে দেখা যায় বোহবোট বলছেন, ‘আমার জন্য তোমরা যা পারো করো!’ একইসঙ্গে জানান, তিনি রাষ্ট্র সরকার সবার কাছেই সাহায্যের আবেদন জানিয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, “আমার শরীর ভালো নেই। আমি ভয় পাচ্ছি—মরে যাব কি না জানি না।” ভিডিওটি একটি ‘মক টেলিফোন কল’-এর মতো উপস্থাপন করা হয়েছে, যাতে বোহবোট তার পরিবারকে স্বপ্নে দেখা এবং ঘরে ফেরার আকাঙ্ক্ষার কথা জানান।

ভিডিও প্রকাশের পরপরই ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু হামাসের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান আরও জোরদার করার নির্দেশ দেন। কারণ, হামাস একটি অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির ইসরায়েলি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে।

হামাস বলেছে, গাজায় যুদ্ধ বন্ধের বিনিময়ে তারা অবশিষ্ট বন্দিদের একবারে মুক্তি দিতে ইচ্ছুক। গাজায় এখনো পায় ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। তাদের মধ্যে প্রায় ২৪ জন এখনো জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। 

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলে হামলা চালায় ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস। এতে নিহত হন কমপক্ষে ১২০০ জন। পাশাপাশি আরও ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যায় তারা। হামাসের এই হামলার প্রতিবাদে ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। এতে নিহত হয়েছেন ৫১ হাজারেরও বেশি মানুষ। 

দীর্ঘ ১৫ মাস যুদ্ধের পর গত ১৯ জানুয়ারি কাতার, যুক্তরাষ্ট্র ও মিশরের মধ্যস্থতায় গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। এটি ছিল তিন পর্বের। প্রথম পর্বে ছিল যুদ্ধ বন্ধ ও জিম্মি-বন্দি বিনিময় শুরু করা, দ্বিতীয় পর্বে ছিল জিম্মি-বন্দি বিনিময়ের কাজ শেষ করা এবং গাজা থেকে ইসরায়েলি সেনাদের সম্পূর্ণ প্রত্যাহার, তৃতীয় পর্বে ছিল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজাকে পুনর্গঠন।

তবে ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি চুক্তির দ্বিতীয় পর্বে প্রবেশ না করে গত ১৮ মার্চ থেকে ফের গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে। ইসরায়েলের ফের শুরু করা এই হামলায় দেড় হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এছাড়া অভিযান শুরুর পর থেকে উপত্যকাটিতে খাদ্য ও অন্যান্য জরুরি ত্রাণবাহী ট্রাক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না দখলদার বাহিনী।

ইত্তেফাক/পিএস