বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশনে জাবি শিক্ষার্থীরা

আপডেট : ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১৪:২২

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) চলমান আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবং উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আমরণ অনশন করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) আট শিক্ষার্থীরা।

বুধবার (২৩ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মহুয়া মঞ্চে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ব্যানারে অনশন কর্মসূচি শুরু করেন তারা। 

অনশনকারী শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিকাল তিনটার মধ্যে কুয়েট উপাচার্য পদত্যাগের ঘোষণা না দিলে তিনটার পর তারা ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে বসে আমরণ অনশন শুরু করবেন।

অনশনকারী শিক্ষার্থীরা হলেন- আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদ সিয়াম, মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জাবি শাখার আহবায়ক আরিফুজ্জামান উজ্জল, চারুকলা বিভাগের শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস আনজুম, সরকার ও রাজনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী নাহিদ ইসলাম ইমন ও জিয়াউদ্দিন আয়ান, নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী সাজ্জাদ হোসেন ও ম্যানেজমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মেহরাব তুর্য। 

এ বিষয়ে অনশনকারী নৃবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী নাজমুল ইসলাম বলেন, 'কুয়েটে বর্তমান উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ে ন্যায়বিচার ও সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। কুয়েটের শিক্ষার্থীরা ৪৮ ঘণ্টার অধিক সময় অনশনে আছেন। মৃত্যু শয্যায় আমাদের গণ-অভ্যুত্থানের সৈনিকেরা। এভাবে চলতে থাকলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়বেন আমাদের মেধাবী প্রজন্ম। কিন্তু বর্তমান উপাচার্য নিজের চেয়ার আঁকড়ে ধরে স্বৈরাচারী মনোভাবের জন্ম দিয়েছেন। বর্তমান সরকার শিক্ষার্থীদের দাবির পক্ষে যৌক্তিক সুরাহা করতে পারেননি।'

অনশনকারী শিক্ষার্থী ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদদের কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক তৌহিদ সিয়াম বলেন, 'যে জুলাইয়ের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে এই ইন্টেরিম গভার্নমেন্ট তৈরি হয়েছে এবং সরাসরি মাঠের দুজন ছাত্র উপদেষ্টা আছে। তারা যখন ছাত্র ইস্যুতে চুপচাপ থাকে, ছাত্র ইস্যুতে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারেনা। এই কুয়েট রিলেটেড ইস্যুতে সারা বাংলাদেশে যদি একজন ছাত্রেরও কিছু হয়, যদি কুয়েটের উপাচার্য মাসুদের পদত্যাগ না হয় তাহলে আমরা মনে করি ছাত্র উপদেষ্টাদের গদিতে থাকার দরকার নেই। তারা তাদের অপারগতা স্বীকার করে পদত্যাগ করুক।'

ইত্তেফাক/এএইচপি