রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২
The Daily Ittefaq

নোয়াখালীতে সেপটিক ট্যাংকে মিললো ছাত্রদল নেতার লাশ

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৬:২২

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় নিখোঁজের দুইদিন পর পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের দুর্গানগর গ্রাম থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার ওসি লিটন দেওয়ান। 

নিহত মীর হোসেন সাদ্দাম (৩২) বেগমগঞ্জ উপজেলার রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ডের রাজেন্দ্রপুর গ্রামের প্রয়াত মমিনুল হকের ছেলে। তিনি রাজগঞ্জ বাজারের একটি রড-সিমেন্টের দোকানে চাকরি করতেন। 

রাজগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন বলেন, রাজগঞ্জ ইউনিয়নের ৭ নাম্বার ওয়ার্ড ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি সাদ্দাম পদ পেতে তৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন। এলাকায় শান্ত প্রকৃতির ছেলে হিসেবে পরিচিত সাদ্দামের মৃত্যুর খবর এলাকাবাসীকে হতবাক করেছে। 

স্বজনরাদের বরাতে ওসি লিটন বলেন, বৃহস্পতিবার বাড়ি থেকে কর্মস্থলের উদ্দেশে বের হন। রাত ৯টার দিকে স্ত্রীকে মোবাইল ফোনে জানান, পরিচিত এক ব্যক্তির জানাজায় যাচ্ছেন তিনি। সেখান থেকে ফিরতে এক-দেড় ঘণ্টা সময় লাগবে। এরপর তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। পরে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ নিয়ে স্বামীর সন্ধান না পেয়ে বেগমগঞ্জ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

লিটন বলেন, শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে ছয়ানী এলাকার একটি সড়কের ওপর নিখোঁজ সাদ্দামের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি পড়ে থাকতে দেখা যায়। এরপর শনিবার সকালে পাশের একটি ধানের স্তূপে রক্ত দেখে লোকজনের সন্দেহ হয়। এর সূত্র ধরেই খোঁজাখুঁজির এক পর্যায়ে স্থানীয় লোকজন অদূরে থাকা পরিত্যক্ত একটি সেপটিক ট্যাংকে পলিথিন মোড়ানো বস্তু দেখে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পলিথিন খুলে মরদেহ দেখতে পায়। 

সাদ্দামের গলা, কপালসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

সুধারাম থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আবু তাহের বলেন, সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুতের পর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনায় পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানান এই পরিদর্শক।

ইত্তেফাক/এমএস