বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ওভাল অফিসে ‘ঝগড়ার’ পর রোমে ট্রাম্প-জেলেনস্কির একান্ত সাক্ষাৎ

আপডেট : ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ১৮:১১

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউক্রেনীয় নেতা ভলোদিমির জেলেনস্কি রোমে 'খুবই ফলপ্রসূ' বৈঠক করেছেন বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউস। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ওভাল অফিসে বাকবিতণ্ডাপূর্ণ বৈঠকের পর এটিই দুই নেতার প্রথম সাক্ষাৎ।

শনিবার (২৬ এপ্রিল) হোয়াইট হাউসের যোগাযোগ পরিচালক স্টিভেন চিউং বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং জেলেনস্কি আজ একান্তে সাক্ষাৎ করেছেন এবং খুবই ফলপ্রসূ আলোচনা করেছেন। বৈঠক সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য পরবর্তীতে জানানো হবে।

জেলেনস্কির চিফ অফ স্টাফ আন্দ্রি ইয়েরমাক ১৫ মিনিটের এই বৈঠককে 'গঠনমূলক' বলে বর্ণনা করেছেন। কিন্তু তিনিও আর বিস্তারিত জানাননি।

পোপ ফ্রান্সিসের শেষকৃত্যে যোগ দিতে দুই নেতা রোমে ছিলেন। ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের অবসানের জন্য আলোচনার প্রচেষ্টা ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়ার সময় তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হলো।

জেলেনস্কির অফিস রোমে বৈঠকের ছবি প্রকাশ করেছে, যেখানে ব্যক্তিগত আলোচনার এক বিরল আভাস দেওয়া হয়েছে। একটি ছবিতে দেখা যায়, দুই নেতা একটি বিশাল মার্বেল হলঘরে একে অপরের বিপরীতে বসেছিলেন, ঘনিষ্ঠভাবে ঝুঁকে কথোপকথন করছিলেন। তাদের পাশে কোনো সহকারী উপস্থিত ছিল না।

একই পরিবেশের আরেকটি ছবিতে দেখা যাচ্ছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কেয়ার স্টারমার এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সঙ্গে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট একটি বৃত্তে দাঁড়িয়ে আছেন।

ট্রাম্প এবং জেলেনস্কির মধ্যে উত্তেজনা শেষ সাক্ষাতের সময় সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়েছিল। বৈঠকে জেলেনস্কির ট্রাম্প এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছিলেন। সেসময় আমেরিকান সমর্থনের প্রতি জেলেনস্কির 'কৃতজ্ঞতার অভাব' আছে বলে জানানো হয়েছিল। একজন মার্কিন সাংবাদিক জেলেনস্কির বিরুদ্ধে স্যুট না পরার জন্য 'অসম্মানের' অভিযোগও করেছিলেন।

মস্কো এবং কিয়েভ উভয়কেই যুদ্ধবিরতির দিকে ঠেলে দেওয়া ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার বলেছেন, তার দূত এবং রাশিয়ান কর্মকর্তাদের মধ্যে সম্প্রতি 'ফলপ্রসূ' আলোচনা হয়েছে।

তবে ওয়াশিংটনের প্রস্তাব এবং কিয়েভ ও তার ইউরোপীয় মিত্রদের অবস্থানের মধ্যে বিভেদ দেখা দিয়েছে। একটি প্রধান বাধা হলো- রাশিয়ান ভূখণ্ড হিসেবে ক্রিমিয়াকে আইনি স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য মার্কিন প্রস্তাব। এই পদক্ষেপের তীব্র বিরোধিতা করে ইউক্রেন এবং ইউরোপীয় দেশগুলো। মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সময়, ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা গ্যারান্টির প্রকৃতি এবং কিয়েভকে কীভাবে আর্থিকভাবে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে তা নিয়েও বিতর্ক রয়ে গেছে।

ইত্তেফাক/এসকে