ভারতের পেহেলগামে হামলার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা আরও বেড়েছে। ভারত সরকার ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে এবং দুই দেশের প্রধান সীমান্ত বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সংগীতশিল্পী আদনান সামিকে কটাক্ষ করেন পাকিস্তানের সাবেক মন্ত্রী, যা ভালোভাবে নেননি এই শিল্পী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন ভারত সরকার যখন পাকিস্তানি নাগরিকদের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়, তখন পাকিস্তানের সাবেক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ফাওয়াদ আহমেদ হুসেন চৌধুরী এক্স (সাবেক টুইটার)-এ পোস্ট করেন, ‘আদনান সামির কী হবে?’
আদনান সামি চুপ থাকেননি। তিনি জবাবে লেখেন, ‘এই অশিক্ষিত গর্দভটাকে কে বুঝাবে!’ এমন পোস্টে নেটিজেনরাও আদনান সামিকে সমর্থন জানিয়েছেন। সেই সঙ্গে ফাওয়াদ হুসেনের তীব্র সমালোচনা করেছেন।
একজন মন্তব্য করেন, ‘ওকে সুযোগ দিলে সেও ভারতের নাগরিকত্ব চাইবে। তাই ওকে উপেক্ষা করুন।’ আরেকজন লিখেছেন, ‘সামি ভাই, কোনোদিন ওকে আপনার হাভেলিতে ডাকবেন।’
এর আগে ফাওয়াদ আহমেদ হুসেন চৌধুরী এক পোস্টে লেখেন, ‘আমাদের খুব কাছের আদনান সামিকে দেখে মনে হচ্ছে ওর বেলুন থেকে হাওয়া বেরিয়ে গিয়েছে। দ্রুত আরোগ্য কামনা করি।’ সত্যিই এক সময় আদনানের প্রচুর ওজন ছিল। বছর খানেক আগে নিজেকে একেবারে বদলে ফেলেছেন তিনি। ঝরিয়েছেন প্রচুর ওজন।
তবে এই কটাক্ষে চুপ করে থাকেননি গায়ক। পাল্টা হিসাবে আদনান লিখেছেন, ‘আপনি এতই বোকা যে, এই কথাটাও মাথায় ঢুকবে না। আমি জন্মসূত্রে লাহোরের মানুষ নই, পেশোয়ারের। তথ্য সম্প্রচারের মন্ত্রী ছিলেন আপনি। অথচ তথ্য সম্পর্কে কোনও জ্ঞানই নেই আপনার। আমার নাকি হাওয়া বেরিয়ে গিয়েছে! আপনি এখনও একটা বেলুনই আছেন। আপনি নাকি বিজ্ঞানমন্ত্রীও ছিলেন। ওটা বিজ্ঞান না কি অন্য কিছু?’
প্রসঙ্গত, আরশাদ সামি খান (পাকিস্তানি) এবং নওরীন খানের (ভারতীয়) ঘরে যুক্তরাজ্যের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন আদনান সামি। তার আদিনিবাস ছিল আফগানিস্তানে। জন্মের পর থেকে যুক্তরাজ্যে বেড়ে ওঠা আদনান একসময় কানাডার নাগরিক ছিলেন। তবে ২০১৬ সালে তিনি ভারতের প্রাকৃতিক নাগরিকত্ব গ্রহণ করেন। পাকিস্তানের সঙ্গে পূর্বের সংযোগ থাকার কারণে রাজনৈতিক উত্তেজনার সময় তার নাম প্রায়ই আলোচনায় আসে।