চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে এক মুক্তিযোদ্ধার বক্তব্যে বাধা দেওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন জামায়াত নেতা ও সাবেক সংসদ সদস্য লতিফুর রহমান। তিনি বলেন, ‘অপ্রাসঙ্গিক কথা বলায়’ ওই মুক্তিযোদ্ধাকে থামানো হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধ বা মুক্তিযোদ্ধাকে খাটো করে দেখার কোনো অবকাশ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
রোববার (২৭ এপ্রিল) রাতে সাংবাদিকদের কাছে পাঠানো এক ভিডিও বার্তায় এসব কথা বলেন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমীর লতিফুর রহমান।
এর আগে শনিবার শহরের শহীদ সাটু হলে জেলা পুলিশ আয়োজিত সুধী সমাবেশে মুক্তিযোদ্ধা তরিকুল আলম বক্তব্য দিতে গেলে তাকে বাধা দেন লতিফুর রহমান। এই ঘটনা নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে দেশজুড়ে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়।
ভিডিও বার্তায় লতিফুর রহমান বলেন, ‘অনুষ্ঠানে এক আওয়ামী লীগপন্থী ব্যক্তি ও মুক্তিযোদ্ধা বিষয়বস্তুর বাইরে কথা বলছিলেন। ৫ আগস্টের ঘটনা নিয়ে বক্তব্য আসার সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবাদ হয়। আমি তাকে অনুরোধ করি বিষয়ভিত্তিক বক্তব্য দিতে। এরপরই কর্তৃপক্ষ তাকে বক্তব্য না দেওয়ার অনুরোধ জানায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার পরিবার মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে সম্পৃক্ত। আমি একজন শহীদ পরিবারের সন্তান। মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করে দেখার প্রশ্নই আসে না। আমরা মুক্তিযুদ্ধকে সম্মান করি, লালন করি। এটি বিতর্কের ঊর্ধ্বে। পাশাপাশি, ২৪-এর যে আন্দোলন, ৫ আগস্টের ঘটনাকেও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখি।’