সোমবার, ১৯ মে ২০২৫, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

অন্তর্বর্তী সরকারকে জনগণ এখানও ভালো সমাধান মনে করছে: আল জাজিরাকে ড. ইউনূস

আপডেট : ২৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০৫

অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা এখনও তুঙ্গে রয়েছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনও মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান।’ 

রোববার (২৭ এপ্রিল) কাতার ভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরার ‘টক টু আল-জাজিরা’ অনুষ্ঠানটির বিশেষ পর্ব ‘মুহাম্মদ ইউনূস: রিয়েল রিফর্ম অর জাস্ট আ নিউ রুলিং ক্লাস ইন বাংলাদেশ’ শিরোনামে এক সাক্ষাৎকার প্রতিবেদন প্রকাশ করে। সেখানে তিনি এ কথা বলেন। 

অনুষ্ঠানে উপস্থাপক ড. ইউনূসকে বলেন, শেখ হাসিনার পতনের পরের ‘মধুচন্দ্রিমা’র সময়টুকু সম্ভবত শেষ হয়েছে। এখন বড় বড় বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে, যেগুলোর সুনির্দিষ্ট জবাব আপানার দেওয়া উচিত। কারণ, পুরোনো ক্ষমতাধরদের প্রভাব রয়েছে, অন্যরা রাজনৈতিক শূন্যতাকে কাজে লাগাতে চাইতে পারে। যেমন লাখ লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থী রয়েছে। এসবের সমাধান কি বাংলাদেশ একা করতে পারবে?

জবাবে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘দুটি বিষয়, একটি জনগণের অধৈর্য নিয়ে, তা মধুচন্দ্রিমা শেষ হোক বা না হোক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি দেখে এখনও মানুষ মনে করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এখনও তাদের জন্য ভালো সমাধান। তারা বলছে না, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে যেতে দাও। আমরা এমন কোনো সমস্যার মুখোমুখি হইনি যেখানে লোকেরা বলছে, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ক্ষমতা হস্তান্তর করো।’

রোহিঙ্গা সঙ্কট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থা, জাতিসংঘের সাথে রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে কাজ করছি এবং এই লোকেরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরে যেতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্যও কাজ করছি। আমাদের চিন্তা হলো, কীভাবে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে কিছু বোঝাপড়া তৈরি করা যায়, যাতে রোহিঙ্গারা তাদের নিজেদের বাড়িতে ফিরে যেতে এবং নিরাপদ পুনর্বাসন করতে পারে।’

এরপর নির্বাচন প্রসঙ্গে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিগত দিনের অনিয়ম–দুর্নীতি দূর করে দেশে অর্থবহ সংস্কার এবং এযাবৎকালের সেরা নির্বাচন উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের আগে সংস্কারের তালিকা ছোট হলে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন এবং তালিকা বড় হলে আগামী বছর জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন জুনের পরে যাবে না।

নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে অংশগ্রহণের অনুমতি দেওয়া হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই প্রশ্নের জবাবের একটি অংশ আওয়ামী লীগকেই নির্ধারণ করতে হবে। দলটি আগে নিজেই সিদ্ধান্ত নেবে তারা নির্বাচনে যোগ দেবে কি না। তারা এখনও কিছু ঘোষণা করেনি। তা ছাড়া নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন কী প্রতিক্রিয়া দেয়, সেটাসহ অন্যান্য বিষয় রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এরপর উপস্থাপক প্রশ্ন করেন, তাহলে লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের ওপর ছেড়ে দিচ্ছেন কি না?

জবাবে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, সেটা নয়। অন্যান্য দল আছে- যারা বলতে পারে যে এই আইনের অধীনে তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

ইত্তেফাক/কেএইচ