যশোরের সদর উপজেলায় নিখোঁজের একদিন পর পুকুর থেকে মাদ্রাসা ছাত্রের হাত-পা বাঁধা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুর ২টার দিকে বাড়ির পাশের একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত মাদ্রাসা ছাত্র তানভির হাসান নিশান (১৪) যশোর সদর উপজেলার রামনগরের ভাটপাড়া এলাকার খাইরুল বাশারে ছেলে ও ভাটপাড়া আলিয়া মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
স্থানীয় ও পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাড়ির পাশের স্থানীয় একটি দোকানে যাওয়ার কথা বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর বাড়ি ফেরেনি। অনেক খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। ওই সময় তার মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়।
নিহতের পিতা খাইরুল বাশার জানান, রোববার রাত সাড়ে ১০টার দিকে এক অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি নিশানের মোবাইল নম্বর দিয়ে ফোন করে ১৫ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং কিছুক্ষণ পর ফোন কেটে দেয়। এ ঘটনার পর কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
সোমবার দুপুরে বাড়ির কাছের একটি পুকুরে কাজ করার সময় স্থানীয় একব্যক্তির পায়ে ধাক্কা লাগলে সন্দেহ হয়। পরে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পুকুরের নিচ থেকে চাপা দেওয়া অবস্থায় নিশানের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কিশোরের হাত-পা লুঙ্গি দিয়ে বাঁধা ছিল এবং তার মরদেহ পাথর দিয়ে চাপা দেওয়া হয়েছিল। স্থানীয়দের ধারণা, মুক্তিপণ না পেয়ে নিশানকে হত্যা করা হতে পারে। খবর পেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে।
যশোর কোতোয়ালী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবুল হাসনাত জানান, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনের চেষ্টা চলছে।