অন্তত গত ৩ মে থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেনাবহর সদৃশ দৃশ্যের একটি ভিডিও প্রচার করে দাবি করা হয়েছে, ভিডিওটি বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির প্রস্তুতির দৃশ্য।
ফ্যাক্টচেক
রিউমর স্ক্যানার টিমের অনুসন্ধানে জানা যায়, প্রচারিত ভিডিওটি সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির প্রস্তুতির দৃশ্যের নয় বরং, অন্তত গত মার্চ মাস থেকেই আলোচিত ভিডিওটি ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়ার সীমান্তে বিরাজমান উত্তেজনার ভিডিও হিসেবে অনলাইনে প্রচার হয়ে আসছে।
এ বিষয়ে অনুসন্ধানে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির একাধিক কি-ফ্রেম নিয়ে রিভার্স ইমেজ সার্চ করলে ‘El Druso’ নামক একটি এক্স অ্যাকাউন্টে গত ২৬ মার্চে প্রচারিত একটি ভিডিও পাওয়া যায়। উক্ত ভিডিওটির সাথে আলোচিত দাবিতে প্রচারিত ভিডিওটির তুলনা করলে সাদৃশ্য পাওয়া যায়। ভিডিওটি সম্পর্কে এক্স পোস্টটির ক্যাপশনে স্প্যানিশ ভাষায় বলা হয়, “ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া উভয়েই তাদের সীমান্তজুড়ে সেনা মোতায়েন করছে, দুটি দেশের মধ্যে ভূমি-দাবি সংক্রান্ত বিরোধের প্রেক্ষাপটে। ইথিওপিয়া সমুদ্রপথে প্রবেশের জন্য আসাব শহরকে একটি সম্ভাব্য লক্ষ্য হিসেবে দেখছে। অন্যদিকে ইরিত্রিয়ার লক্ষ্য হচ্ছে টাইগ্রে অঞ্চল।” (স্বয়ংক্রিয়ভাবে অনূদিত)
এছাড়াও ইথিওপিয়া ও ইরিত্রিয়া প্রসঙ্গে গত মার্চ মাসে আরো একাধিক এক্স ও ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে উক্ত ঘটনার ভিডিও প্রচার হতে দেখা যায়।
উল্লেখ্য যে, পরবর্তীতে গত এপ্রিলে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার চলমান উত্তেজনার প্রসঙ্গেও আলোচিত ভিডিওটি প্রচার করা হয়েছে।
অর্থাৎ, আলোচিত ভিডিওটি বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির প্রস্তুতির দৃশ্যের ভিডিও শীর্ষক দাবিটি প্রচারের আগে থেকেই উক্ত ভিডিওটি ইথিওপিয়া এবং ইরিত্রিয়ার সীমান্তে বিরাজমান উত্তেজনার দৃশ্য দাবিতে প্রচার হয়ে আসছে।
সুতরাং, বাংলাদেশ সীমান্তে মিয়ানমারের আরাকান আর্মির প্রস্তুতির দৃশ্য দাবিতে প্রচারিত বিষয়টি মিথ্যা।