বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩১ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

ইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় সম্পূর্ণ গাজা দখলের সিদ্ধান্ত অনুমোদন

আপডেট : ০৬ মে ২০২৫, ১৬:৩৫

ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ঘোষণা দিয়েছেন, ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে এক ‘তীব্র’ সামরিক অভিযান শুরু করে সম্পূর্ণ গাজা দখলে নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেছে তার দেশ। সোমবার (৫ মে) দেশটির নিরাপত্তা মন্ত্রিসভায় গাজা উপত্যকার পুরো অংশ দখল ও সেখানে মানবিক সাহায্য নিজেদের দখলে নেওয়ার একটি পরিকল্পনা অনুমোদন দিয়েছে।

নেতানিয়াহু এক ভিডিও বার্তায় হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, এই অভিযান হবে পূর্ববর্তী অভিযান থেকে আলাদা। এই অভিযানের ফলে বহু ফিলিস্তিনিকে  স্থানান্তরিত হতে হবে বলে হুঁশিয়ারি দেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। 

ইসরায়েলের পাবলিক ব্রডকাস্টার ‘কান’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নতুন পরিকল্পনাটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে এবং এতে কয়েক মাস সময় লাগবে। নতুন পরিকল্পনা অনুযায়ী, গাজার পুরো ভূখণ্ড দখল করে বেসামরিক জনগণকে দক্ষিণে সরিয়ে নেওয়া হবে এবং মানবিক সাহায্য যেন হামাসের হাতে না পড়ে, তা নিশ্চিত করা হবে।

ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ইতোমধ্যে গাজার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এলাকা দখল করে সেখানে ওয়াচ-টাওয়ার, নজরদারি পোস্ট তৈরি করেছে এবং ওই অঞ্চলকে ‘নিরাপত্তা অঞ্চল’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে।

ইসরায়েলের কট্টরপন্থী রাজনীতিবিদরা গাজা পুরোপুরি দখলের পরিকল্পনার প্রশংসা করেছেন। অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ বলেন, আমরা অবশেষে গাজা জয় করতে যাচ্ছি। 

হামাস নেতা মাহমুদ মারদাউই ইসরায়েলের এই পরিকল্পনাকে ‘চাপ ও হুমকি’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, একটি দীর্ঘস্থায়ী চুক্তি ছাড়া কোনো সমাধান হবে না—যার মধ্যে থাকবে যুদ্ধবিরতি, গাজা থেকে সম্পূর্ণ ইসরায়েলি প্রত্যাহার, পুনর্গঠন এবং বন্দি বিনিময়।

এদিকে ইসরায়েলের অভ্যন্তরেও যুদ্ধবিরতির পক্ষে জনমত বাড়ছে। জরিপ অনুযায়ী, জনগণের একটি বড় অংশ গাজায় আটক থাকা বাকি ৫৯ জন জিম্মির মুক্তির জন্য চুক্তির পক্ষে।

সংসদের বাইরে বিক্ষোভে অংশ নেওয়া রুবি চেন বলেন, আমাদের সমস্ত পরিবার ক্লান্ত। আমরা এই নতুন অভিযানে ভীত, কারণ এর ফল কী হবে তা কেউ জানে না। আন্তর্জাতিক চাপ ও দেশে জনসমর্থনের হ্রাসের মধ্যে ইসরায়েলের এই সিদ্ধান্ত নতুন করে তীব্র লড়াইয়ের সম্ভাবনা তুলে ধরছে।

তথ্যসূত্র: রয়টার্স

ইত্তেফাক/ টিএস