ইসরায়েলের প্রধান বিমানবন্দর বেন গুরিওনে হুথি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইয়েমেনে ইসরায়লের বিমান হামলায় অন্তত ২১ জন আহত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছে, হুদায়দাহ শহরের আল-সালাখানা ও আল-হাওয়াক এলাকায় অন্তত ১০টি বিমান হামলা চালানো হয়। হামলার অন্যতম লক্ষ্য ছিল হোদেইদা বন্দর ও নিকটবর্তী শহর বাজিলের একটি কংক্রিট কারখানা। যুদ্ধবিমানগুলো থেকে ৫০টি বোমা নিক্ষেপ করা হয়।
আইডিএফ জানিয়েছে, বাজিল কংক্রিট কারখানা হুতিদের কার্যক্রমের গুরুত্বপূর্ণ অর্থনৈতিক উপাদান হিসেবে কাজ করে এবং এখান থেকে উৎপাদিত কংক্রিট ব্যবহার করে সুড়ঙ্গ ও অন্যান্য সামরিক অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়। এই হামলা হুতিদের অর্থনৈতিক ও সামরিক শক্তিমত্তার প্রতি বড় আঘাত বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ শুরুর পর এটা ছিল ইয়েমেনে ইসরায়েলের ষষ্ঠ হামলা ও জানুয়ারির পর প্রথম হামলা। কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্র ইরান সমর্থিত হুতির বিরুদ্ধে বড় আকারে বিমান হামলা শুরুর পর ইসরায়েল হুতিদের হামলার জবা দেওয়া বন্ধ রেখেছিল।
ইসরায়েলের হামলার পর হুতিদের মিডিয়া কার্যালয়ের প্রধান নাসরুদ্দিন আমের জানান, ইসরায়েলি হামলা হুতিদের দমাতে পারবে না। এই হামলার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে বলে অঙ্গীকার করেন তিনি।
সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে আমের বলেন, বেসামরিক অবকাঠামোর বিরুদ্ধে জায়নবাদি ও মার্কিনীদের আগ্রাসী হামলা জায়নবাদি শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদের সামরিক অভিযানে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
তথ্যসূত্র:বিবিসি