জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) এবং সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা (এআরও) তাদের পূর্বের আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত পদবি 'ইন্সপেক্টর' ও 'সুপারিনটেনডেন্ট' পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন। বর্তমান পদবি ব্যবহারে দেশি-বিদেশি সংস্থার সঙ্গে পেশাগত যোগাযোগে পরিচয় সংকটে পড়তে হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তারা।
রোববার দুপুরে বাংলাদেশ কাস্টমস অ্যান্ড ভ্যাট অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাকাএভ) নেতারা এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানের কাছে লিখিতভাবে এই দাবি উত্থাপন করেন। চিঠিতে স্বাক্ষর করেন সংগঠনের সভাপতি কে এম মাহবুব আলম ও মহাসচিব তানভীর আহমেদ। এ সময় এনবিআরের কয়েকজন সদস্যও উপস্থিত ছিলেন।
বাকাএভ সভাপতি কে এম মাহবুব আলম সোমবার বিকেলে জানান, বর্তমান পদবির (আরও এবং এআরও) কারণে মাঠপর্যায়ে বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে পরিচয় সংকটে পড়তে হচ্ছে, যা পেশাগত যোগাযোগে ব্যাপকভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এছাড়া আরও এবং এআরও পদবি সরকারি এবং বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানেরও রয়েছে। এতে করে শুধু বিদেশি সংস্থা নয়, দেশীয় কাজেও ব্যাঘাত ঘটছে। এজন্য এনবিআরের চেয়ারম্যানকে চিঠিতে তাদের দাবিগুলো তথা প্রতিবন্ধকতাগুলো তুলে ধরেছে।
চিঠিতে বলা হয়, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত, নেপাল, ভুটান, মিয়ানমারসহ প্রতিবেশী দেশগুলোর সীমান্তে কাস্টমস বিভাগের ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্টদের সঙ্গে কাজের সমন্বয়ে এমনকি সমুদ্রগামী জাহাজে কিংবা বিমানবন্দরে কার্যক্রমেও এনবিআরের রাজস্ব কর্মকর্তা ও সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তারা পরিচয় দিতে গিয়ে ‘পরিচয় সংকট’ বা আইডেন্টিটি ক্রাইসিস অনুভব করেন। কারণ, বিদেশি জাহাজের ক্যাপ্টেন বা বিমানের পাইলট সবার কাছে ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদবিতে পরিচিত। তাই ইন্সপেক্টর ও সুপারিনটেনডেন্ট পদবি পুনর্বহাল করার দাবি জানানো হয়।
চিঠিতে আরও বলা হয়, পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই ইন্সপেক্টর ও সুপারিন্টেনডেন্ট পদবি কাস্টমসের মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের গৌরব ও ঐতিহ্য বহন করে যা আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত। এছাড়া পদবি পুনর্বহালে সরকারের কোনো আর্থিক সংশ্লিষ্টতা নেই।
উল্লেখ্য, ২০১০-১১ অর্থবছরে এনবিআর ‘ইন্সপেক্টর’ ও ‘সুপারিন্টেনডেন্ট’ পদবি পরিবর্তন করে যথাক্রমে সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) ও রাজস্ব কর্মকর্তা (আরও) পদবি চালু করে।
