জাতীয় ফুটবল দল নিয়ে বাফুফের দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা না থাকার কারনে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ খেলতে গিয়ে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দলকে। বিশেষ করে ইনজুরি কারনে ভুগতে হয়েছে।
সৌদি আরবে ক্যাম্পে করতে গিয়ে নানা সমস্যা দেখা দিয়েছিল। সেখানে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল ইনজুরি। সুশান্ত, জামাল ভুইয়া ইনজুরিতে ভুগেছিলেন। ২৫ মার্চ শিলংয়ে ভারতের বিপক্ষেও ইনজুরি নিয়ে ভাবতে হয়েছে। কাজিম শাহ ইনজুরিতে ছিলেন, খেলার মধ্যে তপু বর্মন ইনজুরিতে পড়েছিলেন।
সেদিনের ম্যাচ নিয়ে বাফুফেতে রিপোর্ট জমা পড়েছে। জাতীয় দল নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার কথা বলা হয়েছে রিপোর্টে। ইনজুরির কারনে চুড়ান্ত স্কোয়াড ঘোষনা করা কঠিন হয়ে পড়েছিল। কে কখন ইনজুরিতে পদে, কার বদলে কে খেলতে আসবেন সেটিও জানা ছিল না কোচের। একজন স্থায়ি ডাক্তার, ফিজিও থাকাটা জরুরি বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফুটবল ম্যানেজার আমের খান মনে করেন ৫০ জনের একটা তালিকা থাকলে সেখান থেকে খেলোয়াড় বাছাই করতে সুবিধা হতো। ইনজুরিটা বলে কয়ে আসে না। যে কেউ ইনজুরিতে পড়তে পারেন। কিন্তু তার পজিশনে খেলোয়াড় রেডি থাকলে চট করে দলে নেয়া যায়।
আমের খান বলেন, 'আমরা তো বলতেও পারছি না কোন ফুটবলার সুস্থ রয়েছেন। কে ফিট আর কে আনফিট না। বাছাই করা তালিকা থাকলে এবং দলের জন্য স্থায়ি ডাক্তার ও ফিজিও থাকলে তারাই ফিট আনফিটের তালিকা বলে দিতে পারবেন।' আমের বলেন, 'হামজা চৌধুরী যদি ইনজুরিতে পড়তেন তাহলে কি হতো।'
ফুটবল ম্যানেজারের রিপোর্ট অনেক আগেই জমা দেওয়া হয়েছে। ম্যাচ জিততে না পারার বিষয়ে ফিনিশিংয়ের অভাব বলে রিপোর্টে বলা হয়েছে। আক্রমনভাগের গাফিলতি ছিল। খেলোয়াড়দের মধ্যে আরো উদ্দীপনা থাকা প্রয়োজন।
ভারতের শিংলয়ে গিয়ে নানা ভোগান্তি হয়েছিল বাংলাদেশ দলের। এসব ট্যুরে যাওয়ার আগে আগাম দল পাঠিয়ে সবকিছু রেডি করা দরকার এবং সেটি খুবই গুরুত্বপূর্ন বিষয়।
সম্প্রতি সিঙ্গাপুরের কোচ এসে ঢাকা স্টেডিয়াম পরিদর্শন করে গিয়েছেন। সিঙ্গাপযুরের বিপক্ষে এশিয়ান কাপের ম্যাচ, বাংলাদেশে হবে ১০ জুন। সিঙ্গাপুর কোচ এসে সবকিছু দেখে দেখে গেছেন। ম্যাচ খেলতে আসার আগে কোচ সবকিছু জানতে পারছেন। তাই তাদের কোনো সমস্যা হবে না। বাংলাদেশেরও উচিত এশিয়ান কাপের মতো বড় আসরে খেলতে যাওয়ার পূর্বে ভেন্যু হোটেল, অনুশীলন মাঠ সবকিছু পরিদর্শন করা। আগাম জানা থাকলে সমস্যা কম হয়। এসব ব্যপারে আরো কি পদক্ষেপ গ্রহন করা যায় তা নিয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছে রিপোর্টে। ম্যানেজার আমের খান নিজেও মনে করে পেশাদার ডাক্তার, ফিজিও এবং পেশাদার ম্যানেজারও থাকা উচিত।