রাজশাহীতে আম ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হয়েছে। ঘোষিত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আগামী ১৫ মে থেকে সব ধরনের গুটি আম বাগানের গাছ থেকে নামাতে ও বাজারজাত করতে পারবেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।
গতকাল বুধবার দুপুরে রাজশাহীর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আম পাড়ার সময় নির্ধারণ বিষয়ে ‘আম পরিবহণ, বাজারজাতকরণ ও সংগ্রহের নিমিত্তে এক মতবিনিময় সভার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক আফিয়া আকতার এই তথ্য জানান। সভায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাজশাহীর উপ-পরিচালক সালমা আক্তার, কৃষি কর্মকর্তা, আমচাষি, ব্যবসায়ী ও আম পরিবহনে নিয়োজিত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় উপস্থিত সবার সঙ্গে আলোচনা করে নিরাপদ, বিষমুক্ত ও পরিপক্ব আম বাজারজাতকরণ নিশ্চিত করতে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ প্রকাশ করা হয়।
ঘোষিত ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী, আগামী ১৫ মে থেকে সবধরনের গুটি আম নামাতে ও বাজারজাত করতে পারবেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। গত বছর আম পাড়ার শুরু তারিখ ছিল ১৫ মে। কিন্তু তার অনেক পরে বাজারে আম নামানো হয়েছিল। এর আগে ২০২৩ সালে ৪ মে এবং ২০২২ সালে ১৩ মে থেকে রাজশাহীর গুটি আম নামানো ও বাজারজাত করা হয়েছিল।
জেলা প্রশাসক জানান, সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমাগী ২০ মে থেকে সুস্বাদু গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে রাণীপছন্দ বা লক্ষণভোগ, ৩০ মে থেকে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি, ১০ জুন থেকে বানানা ম্যাঙ্গো ও ল্যাংড়া, ১৫ জুন থেকে আম্রপালি ও ফজলি, ৫ জুলাই থেকে বারি আম-৪, ১০ জুলাই থেকে আশ্বিনা, ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতি আম পাড়া ও বাজারজাত করা যাবে। এছাড়া সারা বছর পাওয়া যাবে কাটিমন ও বারি আম-১১ জাতের আম।
সভায় জানানো হয়, এবার রাজশাহী জেলায় ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। হেক্টরপ্রতি আমের সম্ভাব্য গড় উৎপাদন ১৩ দশমিক ২৬ (টন) হিসাবে সম্ভাব্য মোট আম উৎপাদনের টার্গেট ধরা হয়েছে প্রায় ২ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন। সম্ভাব্য আম বেচাকেনার টার্গেট ধরা হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
সভায় রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আফিয়া আখতার বলেন, আগামী ১৫ মে থেকে সব ধরনের গুটি আম পাড়তে পাড়বেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা। যদি কোনো ধরনের দুর্যোগ হয়, সেক্ষেত্রে চাষিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের অনুমতি নিয়ে আগাম আম পাড়তে পারবেন।