বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ৩০ বৈশাখ ১৪৩২
The Daily Ittefaq

বাবাকে হত্যার পর  ৯৯৯-এ কল দিয়ে দায় স্বীকার মেয়ের

আপডেট : ০৮ মে ২০২৫, ১২:০২

ঢাকার সাভারে আব্দুস সাত্তার (৫৬) নামের এক ব্যক্তি ছুরিকাঘাতে খুন হয়েছেন। জাতীয় জরুরি সেবা নাম্বার ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে বাবাকে হত্যার বিষয়টি পুলিশকে জানায় মেয়ে। এমনকি ওই তরুণী বাবাকে হত্যার দায়ে নিজেকে আটকের জন্যও অনুরোধ করেন পুলিশের কাছে।  

বৃহস্পতিবার (৮ মে) ভোরে সাভার পৌরসভা এলাকা থেকে আব্দুস সাত্তারের লাশ উদ্ধারের পর এমনটাই জানিয়েছে পুলিশ। 

নিহত আব্দুস সাত্তারের বাড়ি নাটোরের সিংড়া উপজেলায়। তিনি স্ত্রী মারা যাওয়ার পর মেয়েকে নিয়ে ওই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন এবং কম্পিউটারের দোকানে চাকরি করতেন।

আটক তরুণীর বরাতে পুলিশ জানিয়েছে, তার মা মারা যাওয়ার পর তিনি তার বাবার হাতে ধর্ষণের শিকার হয়ে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় আব্দুস সাত্তার গ্রেপ্তার হয়ে কয়েক মাস পর জামিনে বের হন। এরপর বিভিন্ন সময়ে ধর্ষণচেষ্টা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে ক্ষোভে তার বাবাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী গতকাল বুধবার রাতে তিনি তার বাবাকে ভাতের সঙ্গে ঘুমের বড়ি মিশিয়ে খাওয়ান। এরপর ভোর ৪টার দিকে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে বুকে ও পেটে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে ৯৯৯-এ খবর দেন।

সাভার থানার কর্তব্যরত কর্মকর্তা (ডিউটি অফিসার) আব্দুর রশিদ বলেন, ভোর ৪টার দিকে এক তরুণী জরুরি সেবার ৯৯৯-এ ফোনকল করে তার বাবাকে হত্যার কথা জানান এবং তাকে আটকের অনুরোধ করেন। পরে সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশে পাঠিয়ে ওই তরুণীকে আটক ও মরদেহটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

সাভার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইমরান হোসেন বলেন, ‘মেয়েটি বাবার কাছে ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এবং সেই ঘটনায় তিনি মামলা করেছিলেন। আবারও তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। এই ক্ষোভ থেকেই বাবাকে হত্যা করেছেন বলে মেয়েটি আমাদের জানিয়েছেন।’

এসআই ইমরান হোসেন আরও বলেন, ‘মেয়েটির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাকে আটক করা হয় এবং তার বাবার লাশ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। লাশের বুকে ও পেটে বেশ কিছু ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

ইত্তেফাক/এপি