ঘরের মাঠে ১-০ গোলে হারের পর পিএসজির মাঠে খেলতে গিয়েছিল আর্সেনাল। এই ম্যাচে তাই শুধু জিতলেই হতো না, অন্তত দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হতো মিকেল আর্তেতার শিষ্যদের। তবে জেতা তো দূর, উল্টো আরও একবার হেরে গিয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে গানারদের। আর দুই লেগের সেমিফাইনালের দুটিই জিতে ফাইনালে উঠেছে প্যারিসের জায়ান্টরা।
বুধবার (৭ মে) রাতে প্যারিসের পার্ক দে প্রান্সে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনালের ফিরতি লেগের ম্যাচটি ২-১ গোলে জিতেছে পিএসজি। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানে জয় পেয়েছে লুইস এনরিকের শিষ্যরা।
প্রথম লেগে একমাত্র গোলটি করা উসমান ডেম্বেলেকে বেঞ্চে রেখে এদিন একাদশ সাজান পিএসজি বস এনরিকে। অন্যদিকে প্রতিপক্ষের মাঠে তাদের সমর্থকদের সামনেও স্বাগতিকদের ওপর ছড়ি ঘোরাতে থাকে আর্সেনাল। কিন্তু ম্যাচের ২৭ মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শটে পিএসজিকে এগিয়ে নেন দলটির স্প্যানিশ মিডফিল্ডার ফাবিয়ান রুইস।
দ্বিতীয়ার্ধে ৬৯ মিনিটে একটি পেনাল্টি পেয়েছিল স্বাগতিকরা। তবে ভিতিনিয়ার দুর্বল শট ঠেকিয়ে দলকে লড়াইয়ে ধরে রাখেন আর্সেনাল গোলরক্ষক ডেভিড রায়া। এর তিন মিনিট পরই অবশ্য ব্যবধান আরও বাড়ান আশরাফ হাকিমি।
ম্যাচের ৭৬ মিনিটে চকিতে আক্রমণে উঠে একটি গোল শোধ করেন আর্সেনালের বুকায়ো সাকা। তার কিছুক্ষণ পর আরও একটি গোল করে দলকে সমতায় ফেরার সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন তিনি। এরপর আর কোনো গোল হয়নি।
শেষ পর্যন্ত দুই লেগ মিলিয়ে ৩-১ ব্যবধানের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে এনরিকের শিষ্যরা। এর মাধ্যমে পাঁচ বছর পর ফের চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠলো প্যারিসের জায়ান্টরা। ২০২০ সালে ইতিহাসে প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল খেলে পিএসজি। সেবার বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে হৃদয় ভাঙে তাদের।
পিএসজির এবারের প্রতিপক্ষ আগের রাতে বার্সেলোনাকে বিদায় করা ইন্টার মিলান। এবারের আসরের ফাইনালের ভেন্যু আবার আলিয়ান্স অ্যারেনা। বায়ার্নের মাঠ থেকে প্রথম চ্যাম্পিয়নস লিগ শিরোপা জিতে পিএসজি তাদের দুঃখ ঘোচাতে পারবে কি না, তা সময় বলে দেবে।
