আয়কর ফাঁকি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা পৃথক মামলায় দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেয়েছেন নীলফামারী-১ (ডোমার-ডিমলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি নেতা শাহরিন ইসলাম চৌধুরীর (তুহিন)। তার করা পৃথক আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। শাহরিন ইসলাম চৌধুরী বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ভাগনে।
বিচারপতি মোহাম্মদ আলী ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বৃহস্পতিবার (৮ মে) এ আদেশ দেন। দুই মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে শাহরিনের করা আপিলের গ্রহণযোগ্যতা ও জামিন আবেদনের শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেওয়া হয়।
দুই মামলায় জামিন পাওয়ায় শাহরিন ইসলাম চৌধুরীর কারামুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী হাসান রাজীব প্রধান। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট জরিমানা স্থগিত করেছেন। দুই মামলায় শাহরিন ইসলামকে এক বছরের জামিন দিয়েছেন। বিচারিক আদালতের নথি তলব করা হয়েছে।
আইনজীবীদের তথ্য অনুযায়ী, আয়কর ফাঁকি ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে শাহরিন ইসলামের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে আয়কর ফাঁকির অভিযোগে করা মামলায় দুটি ধারায় শাহরিন ইসলামকে আট বছর (তিন বছর ও পাঁচ বছর) কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়। আর জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় দুটি ধারায় (৩ বছর ও ১০ বছর) ১৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সম্প্রতি শাহরিন ইসলাম দেশে ফেরেন। গত ২৯ এপ্রিল ঢাকার বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। পাশাপাশি জামিনের আবেদন জানান। আদালত তার জামিনের আবেদন নাকচ করে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। দুই মামলায় বিচারিক আদালতের দণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্টে পৃথক আপিল করেন শাহরিন।